বাশার : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পূর্ব পাশে রানওয়ে ঘেষে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় সরকারী দলের ছত্রচ্ছায়ায় ভয়াবহ চাদাবজি টেন্ডারবাজি চলছে। খিলক্ষেত থানা আওয়ামীলীগের একজন উদীয়মান তো এবং ওয়ার্ডের একজন প্রভাবশালী নেতা এই চাদাবাজদের শেল্টারদাতা বলে অভিযোগ ওঠেছে। এই দুই নেতা চাদাবাজ-টেন্ডারবাজদের গডফাদার বলে সাধারন আওয়ামীলীগের নেত-কর্মীরা অভিযোগ করেন। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিবহন ব্যবসাও এই ভয়াবহ চাদাবাজচক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিমানবন্দর, খিলক্ষেতে সরকারী দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা চাদাবাজদের চিহ্নিত করে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। খিলক্ষেত এলাকার যুবলীগের কবীর, মুকুল নামের চাদাবাজদের সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা খোজখবর নিচ্ছে। এই চাদাবাজচক্র প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার চাদা আদায় করছে। সে হিসাবে এ চক্র মাসে ১৫ লাখ টাকার চাদাবাজি করছে বলেও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। সরকারী দলের চত্রচ্ছায়ায় থাকা চাদাবাজদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাস্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।খিলক্ষেত ও বিমানবন্দর এলাকার একাধিক আওয়ামী নেতা-কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহানগর যুবলীগের ( উত্তর) সহ-সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মুকুল তার সহযোগি কবীর, সাত্তার , জাহাংগির হোসেন রাজা, শ্রমিক লীগের পদ হারানো নেতা শেখ নান্নু এবং তাদের সাংপাংগরা বিমানবন্দর পরিবহন সেক্টরসহ খিলক্ষেত বাজার, অটো রিকশা, অটো টেম্পু এবং রাস্তার পশ্চিম পাশে নিকুন্ঞ-১-২ এলাকায় ভয়াবহ চাদাবাজি করছে।জানা গেছে, যুবলীগের নাম ভাংগিয়ে মিজানুর রহমান মুকুল খিলক্ষেত বাজারে চাদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। দূরদূরান্ত থেকে সবজি নিয়ে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এই চাদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পায় না। চাদাবাজ সাত্তার ও জাহাংগির খিলক্ষেত অটো রিকশা ও অটো টেম্পু স্ট্যান্ডে চাদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। আর শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কৃত পদ হারানো এক নেতা বাড়ি ফরিদ বিধায় তার নামের আগে শেখ লাগিয়ে শেখ নান্নু সেজে খিলক্ষেতের নিকুন্ঞ-১ ও ২ এলাকা তথা ঢাকা- ময়মনসিংহ সড়কের পশ্চিম পাশে সমস্ত ফুটসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যবসা তথা টু- নাইনটি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার চাদাবাজি করছে।গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে এই চাদাবাজচক্র হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিবহন সেক্টরও নিয়ন্ত্রণ করছে। বিদেশ ফেরত যাত্রীরাও এই চাদাবাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।। বিএমডব্লিউ একটি পরিবহন কাউন্টারের নামে পরিবহন ব্যবসার অন্তরালে এ চক্র বিমানবন্দরে চাদাবাজি করছে বলে গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে। চাদাবাজ শেখ নান্নু বিমানবন্দর থেকে বিতাড়িত হয়ে খিলক্ষেতে আশ্রয় নিয়ে এখন সেখানে চাদাবাজিতে নেমে পড়েছে।খিলক্ষেত থানা এলাকায় সরকারী দলের নামে চাদাবাজি প্রসংগে খিলক্ষেত থানার একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, খিলক্ষেত এলাকায় চাদাবাজি নতুন নয়- দীর্ঘদিন ধরেই খিলক্ষেতে সরকারী দলের সাথে থেকে মূল দল ও অংগ সংগঠনের কতিপয় নেতার ছত্রচ্ছায়ায় চিহ্নিত চাদাবাজরা চাদাবাজি করছে। এই চাদাবাজদের হাত থেকে এলাকার ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারাও রেহাই পাচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনকে বার বার বললেও এই চাদাবাজদের ব্যাপারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমিউনিটি পুলিশি দিবসে থানা কমপ্লেক্সে চিহ্নিত চাদাবাজদের নিয়ে এক বৈঠকও করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। উক্ত বৈঠকে খিলক্ষেত থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসলাম উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)