এমপি-মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ : একটুখানি বৃষ্টিতে আশকোনা প্রধান সড়ক হাটুপানিতে সয়লাব: জন চলাচল বিঘ্নিত, আবাসিক এলাকার ভিতরে বরফকল কার স্বার্থে? নামেই সিটি কর্পোরেশন

স্টাফ রিপোর্টার : এটা আশকোনা প্রধান সড়কের চিরচেনা দৃশ্য। একটুখানি বৃষ্টি হলেই সড়কে হাটি পানি জমে যায়। হাজার হাজার জনতার চলাচল বিঘ্নিত হয়ে পড়ে, প্রধান  সড়ক ঘেষা সরকারি প্রাইমারি স্কুল, সড়কে হাটু পানি জমাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসতে পারে না। ১১ মে সকালের বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে গেছে, হাজার হাজার জনতা ভ্যানে চলাচল করছে, সড়কে পানি জমে থাকায় খাদাখন্দে ভরা অটো রিকশাও চলাচল করতে পারছে না, গুদারাঘাটের মতো আশকোনা প্রধান সড়কে মানুষ ভ্যানে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে পারপার হচ্ছে।

মাঝেমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের পানি শোধনাগাড়ি দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে দেখা যায়। রাতে সোডিয়াম বাতি জ্বলে না।এলাকা ভুতুরে অবস্থা, এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী মুষ্টিমেয় জনগণ সড়ক দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছে, সড়কে বাড়িঘর থাকায় রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না।ইউপির অধীনে থাকাকালিন আশকোনা দু:খু মেম্বার রোডটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও- তা এলাকার দু:খু মেম্বার, মাস্টার, বাবুলসহ স্থানীয়রা দখল না ছাড়ায় সড়ক প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। ফলে সড়কের দক্ষিণমাথা প্রশস্ত করা হলেও প্রধান সড়কঘেষা উত্তরের প্রবেশমাথা চিপাগলিই রয়ে গেছে।


চিপাগলির ভিতর আবার স্থানীয় প্রভাবশালীরা বরফ কল ফ্যাক্টরি গড়ে তোলায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, পাশেই কেন্দ্রীয় প্রধান মসজিদের মুসুল্লিদের নামাজ পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। বরফকলের উচ্চশব্দে পাশের বাসার লোকজন রাতে ঘুমাতে পারছে না। পাশের বাসার বাসিন্দা এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ করার পর তাকে বরফকল মালিকরা মারতে উদ্যত হয়। ফলে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এলাকাবাসির দাবি কেন্দ্রীয় প্রধান মসজিদের মুসুল্লিদের স্বচ্ছন্দে নামাজ আদায়ের স্বার্থে, এলাকার পরিবেশ রক্ষার জন্য এমনকি পাশের বাসার বসতিদের রাতে স্বাচ্ছন্দে ঘুমানোর জন্য বরফকলটি আবাসিক এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকার জনগণ। জনগণের প্রশ্ন আবাসিক এলাকার ভিতরে বরফকল কার স্বার্থে? কে দিল এই বরফকল করার লাইসেন্স? পরিবেশ ডিজি এ ব্যাপারে জানেন কি?

জনগণের প্রশ্ন- এটা কি সিটি কর্পোরেশনের কোন সড়ক না কি গ্রামের কোন সড়ক। একটু খানি বৃষ্টি হলেই সড়ক হাটু পানিতে তলিয়ে যায়। এ দৃশ্য নিত্যকার, এলাকার মানুষ পুরো বর্ষা মওসুম জুতা হাতে করে আশকোনার এ সড়কে চলাচল করে।অথচ এ সড়কের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ সড়ক দিয়ে দক্ষিণখান, নদ্দা, হলান আশকোনা বৃহৎ পাড়ার লোক প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকেন। সড়কের অর্ধেক আবার হকাররা দখল করে হকারি করছে। যার যার দোকানের সামনে হকার বসিয়ে দোকানিরাও চাদাবাজি করছে। রাজনৈতিক নেতারাও সড়কের দুইপাশে হকার বসার সুযোগ করে দিয়ে রীতিমত চাদাবাজি করছে।জাপার আমল, বিএনপির আমল, বর্তমান সরকারের ১৫ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে কিন্ত আশকোনা প্রধান সড়ক প্রশাস্ত , অলিগলির রাস্তা প্রশস্ত করার কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। বর্তমান ঢাকা-১৮ স্বতন্ত্র এমপি খসরু চৌধূরি (বার বার সিআইপি) কি আশকোনা প্রধান সড়ক, অলিগলি সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণে উদ্যোগ নিবেন- এ প্রশ্ন এলাকার আম- জনতার? নাকি এলাকার জনগণ এভাবেই প্রতিনিয়ত অবর্ণণীয় কষ্ট করবে? আর এমপি- মেয়র- স্থানীয় কাউন্সিলর চেয়ে চেয়ে দেখবেন।