একুশে বার্তা রিপোর্ট : বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের প্রস্তাব বাতিল ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবি এবং বেবিচক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেবিচকের ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বেবিচক সদর দফতরের সামনে তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এক পর্যায়ে তারা উত্তরায় ঢাকা-গাজিপুর-ময়মনসিংহ সড়কও এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। পরে চেয়ারম্যানের আশ্বাসে অবরোদকারিরা মহাসড়ক থেকে চলে আসেন। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় ১ ঘন্টা থমকে দাড়ায়। প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এই এতে অংশ নেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তারা ৬টি দাবি তুলে ধরেন।
এর মধ্যে রয়েছে- এভসেক বিভাগকে অকার্যকর করতে হবে। বেবিচকের অর্গানোগ্রাম পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির কাঠামোগত শক্তিশালীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। বেবিচকের অধীনে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় বিমান বাহিনীর ১৪৫০ জন সদস্যসহ সব জনবল প্রত্যাহার করতে হবে। ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা সদর দফতর থেকে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে যান। এরপর সেখানে প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ চলাকালীন সময় চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
আন্দোলনকারী হুমায়ন কবির, আব্দুল লতিফ ও মাসুদ রানা বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারসহ আমাদের দাবি না মানা হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এতোবড় বৃহৎ আন্দোলনে নেতা দাবিদার শহিদুল্লাহকে সচিত্র দেখা যায়নি। আরেকটি বদলির ভয়ে আন্দোলনে আসেননি না কর্তৃপক্ষের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তাকে বরিশাল বিমানবন্দরে সংযুক্ত করা হয়েছে। নাকি তিনি বরিশালেই রয়েছেন।পাক জংগি কানেকশনের গোয়েন্দা রিপোর্ট ভিত্তিতে তাকে যশোর বিমানবন্দ বদলি বরিশাল বিমানবন্দরে সংযুক্ত হয়। গোয়েন্দা সংস্থা তাকে তলব করে জিঙ্ঘাসাবাদ করে। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বিমানবন্দর দিয়ে আওয়ামী নেতাদের বিদেশ পাড়ি জমাতে বাধা দেয়ায় তার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়, মেম্বার সিকিউরিটির—যিনি সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের আপন ভাগিন জামাই’র রোষানলে পড়েন। মেম্বার সিকিউরিটিকে বদলির পরও বেবিচকে এখনও বহাল। কিন্ত শহিদুল্লাহকে ঠিকই বদলি করা হলো।
আন্দোলনে শাহজালাল বিমানবন্দরের একমাত্র স্যারিটারি ইন্সপেক্টর , সাবেক ছাত্রদল করার দাবিদার নবী হোসেন ভুইয়া ওরফে টিপুকে মিছিলের অগ্রভাগে ব্যানার হাতে দেখা যায়।