এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠন : দেশের বিমানবন্দরগুলো মিছিলে মিছিলে উথ্থাল, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি অব্যাহত , কর্মচারিদের গ্রেফতারের হুমকি: গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে

স্টাফ রিপোর্টার : বিমান বাহিনী কর্তৃক বেবিচক বোর্ডসভা/.পর্যদে আলোচনা না করে, বিমান মন্ত্রণালয় এমনকি প্রধান উপদেষ্টার অফিসকে অন্ধকারে রেখে, কোন অধ্যাদেশের তোয়াক্কা না করে অতি গোপনে ১০ হাজার ৬৩২ সদস্য’র ‘ বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স’ গঠনের প্রতিবাদে দেশের বিমানবন্দরগুলো মিটিং-মিছিল-সমাবেশে উথ্থাল। সিলেট, কক্সবাজারের পর যশোর বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও মিছিল-মিটিং- সমাবেশ করেছে। এসব বিষয় গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে।
এ দিকে আন্দোলনকারীদের হুমকি দিচ্ছেন বেবিচক চেয়ারম্যান্ এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এ দিকে এই বাহিনী গঠন থেকে পিছিয়ে এসে বেবিচক কর্তৃপক্ষ জনসংযোগ বিভাগ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। এ বাহিনী গঠনের একটি খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে।
বেবিচক মেম্বার নিরাপত্তা এ ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
প্রশ্ন হয়ে সামনে আসছে কার স্বার্থে গোপনে এয়ারফোর্স দিয়ে এ বাহিনী গঠন প্রক্রিয়া করা হলো। যার ৭০ ভাগ জনবল এয়ারফোর্সের আর ৩০ ভাগ জনবল সিভিল। এ বাহিনী গঠনের আগে কেন বেবিচক বোর্ডসভা / পর্যদে আলোচনা করা হলো না। বিমান মন্ত্রণালয়কে কেন জানানো হলো না। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে কেন জানানো হলো না। আর এ বাহিনী গঠিত হলে এদের বেতন-ভাতা দিবে কে? ১০৬৩২ জন সদস্য’রু বেতন-ভাতা দিতে হলে সরকারকে কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে। মাথাভারি হবে প্রশাসন। এ বিষয়গুলোাও ভেবে দেখা দরকার।

বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদারকরণের কথা ফলাও করে প্রচার করা হলেও- বিমানবন্দরগুলোতে এভসেক বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে। পাশাপাশি এপিবিএন পুলিশও নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ঘন্টা কাজ করছে।
এ ছাড়াও বিমান বাহিনীর ১৪৫০ জন জনবল দেশের ৪ বিমানবন্দরে ২৪ ঘন্টা ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছেন। এদের বেতন-ভাতার ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় আপত্তি তুলে নিয়ে প্রঙাপন জারি করেছে।
দেশের প্রধান বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক/ এভসেক পরিচালকসহ বেবিচক প্রশাসনে আওয়ামী দোসররা এখনও বহাল। এদেরকে বদলি/প্রত্যাহারের আন্দোলন ভেস্তে গেছে। সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের আপন ভাগিন জামাই বেবিচকে বসে আছেন।তাকে বদলির পরও বহাল। সিভিল ক্যাডারের ২ সদস্য এখন বেবিচকে বহাল। এরা স্বেচ্ছাচারভাবে প্রশাসন চালাচ্ছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এদের প্রত্যাহারে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারিরা ব্যানার টাংগিয়ে দিলেও গত ৭ মাসেও এরা বহাল। আওয়ামী আমলের ধর্ম মন্ত্রীর আত্মীয় বেবিচকের সেমসুতে বসে আছেন। আওয়ামী নেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লøাহর পিএস তিরান হোসেন বেবিচক প্রশাসনে বসে আছেন। উপপরিচালক আবিদুল ইসলাম গত প্রায় ১৫ বছর যাবত বেবিচক প্রশাসনে বহাল। আওয়ামী দোসর কেরানি-এওরাও প্রশাসনে বহাল। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতারাও বহাল। এদেরকে বদলি করে বেবিচক প্রশাসন ঢেলে সাজানো হচ্ছে না।
বেবিচক চেয়ারম্যান এসেছেন ৬/৭ মাস আগে। তিনি আওয়ামী দোসরদের মতামতের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নিতে বাধার সন্মুখীন হচ্ছেন বলেও শোনা যায়।