কালিহাতী হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ সরানোকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার : তদন্ত কমিটি গঠিত : ডা. সুমির প্রাইভেট হাসপাতাল প্রাকটিস জমজমাট

সংবাদদাতা : টাংগাইলের কালিহাতী হাসপাতালের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ সরানোকে কেন্দ্র করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা খাতুনের ভিডিও এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র স্টাফ নার্স জুলেখার সাথে হাজেরার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাকি এ ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এর সাথে ডা. সুমির সম্পৃকতার বিষয়টিও শোনা যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ডা. লিটন রায়ের সাথে ডা. সুমি শলাপরামর্শ করছেন বলেও শোনা যায়। ডা. সুমি হাসপাতালে পাশেই এম রহমান প্রাইভেট হাসপাতালে রীতিমত প্রাইভেট প্রাকটিস করছেন বলেও জানা যায়। হাসপাতালে আগত সব ডেলিভারি রোগি এম রহমান হাসপাতালে নিয়ে ডেলিভারি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ আগের টিএসও ডা. শাহেদের মৌখিক নির্দেশে সরিয়ে ফেলা হয়। কমিটির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়নি।
আর এ নিয়ে নাকি ডা. সুমি, নার্স হাজেরা এবং নার্স জুলেখার দ্ধন্ধ চরমে। এর জের ধরেই নাকি ভিডিও ভাইরাল করে নার্স জুলেখাকে ফাসিয়ে দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। তবে তদন্তেই বের হয়ে আসবে থলের বিড়াল বলে অনেকে মনে করেন।
যাদেরকে তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে তারা হলেন- ডা. লিটন রায়, ডা. সাফি তালুকদার । তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে, আরো তদন্ত করার জন্য সময় চেয়েছে বলে টিএসও ডা. রাহাত চৌধুরি জানান।
তদন্ত কর্মকর্তা ডা. লিটন রায় নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না, সপ্তায় নাকি তিনি ৩ দিন অফিস করেন।
এ ব্যাপারে জানতে ডা. লিটন রায়ের মোবাইলে বার বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ দিকে কালিহাতি হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তার-নার্সের বাড়ি টাংগাইলে। এখানে চাচা- ভাতিজাও চাকরি করছেন। চাচাকে বদলির পর আবার কালিহাতি হাসপাতালে চলে এসেছেন।
এ ব্যাপারে টিএসও ডা. রাহাত চৌধুরি ‘একুশে বার্তা’কে জানান, স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিজ জেলায় চাকরি করতে কোন বাধা নেই। অন্য ক্যাডারে বাধা আছে বলে তিনি জানান।
তদন্ত কমিটির ব্যাপারে তিনি জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ সংক্রান্ত বিষয়টি আমার জানা নেই, তখন আমি এ হাসপাতালে ছিলাম না। নিয়ম হলো কমিটির মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ ধ্বংস করা।
তিনি আরো জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা সিভিল সার্জন দৃষ্টিপাত করছেন, প্রয়োজনে তিনি অধিকতর তদন্ত করবেন।