কোটা আন্দোলন বিরোধী পোস্ট,মিছিল করেও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচেছ বিমান শ্রমিকলীগ নেতা শিশির: সিলেট এয়ারপোর্ট দিয়ে আওয়ামী নেতাদের পালাতে সহায়তা : আওয়ামী নেতা তোফায়েল-নানকের ঘনিষ্ঠ, মানব পাচারসহ অনৈতিক কাজ করে বহু বিত্তের মালিক, শিশু হত্যা ধামাচাপা, দুদকে মামলা

একুশে বার্তা রিপোর্ট : আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল-নানকের ঘনিষ্ঠ বিমান শ্রমিকলীগ নেতা  শিশির বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে : কোটা আন্দোলন বিরোধী পোস্ট, মিছিল করেও বহাল, মানব পাচার ল্যাগেজ পাচার, শিশু হত্যা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ: স্ত্রীর নামে অবৈধ ট্রাভেল ব্যবসা, সরকারি ফোন ব্যবহার করার অভিযোগও ওঠেছে। সিলেট থেকে আওয়ামীলীগের নেতা- নেত্রীদের সিলেট ওসমানি এয়ারপোর্ট দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেএে সবচেয়ে বেশী সহযোগীতা করেছে এই শ্রমিকলীগ নেতা শিশির।

অভিযোগ ওঠেছে বিমানবন্দর দিয়ে  মানব পাচার করার সাথে এই শ্রমিকলীগ নেতা শিশির জড়িত রয়েছে।এভাবে অবৈধভাবে অর্থ উর্পাজনকারী এই শ্রমিকলীগ নেতা।সিলেটে অবৈধভাবে আবরার টেলিকম  তার স্ত্রীর নামে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যেখানে তার ভাগিনা এবং ছেলে বসে ব্যবসা করে।অফিসের সরকারি ফোন ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন।যা অফিস আইনের বর্হিভুত।।

 

এদের বিচার করে অবৈধভাবে আয় করা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবি।

 

বিমান শ্রমিকলীগ নেতা  মিজানুর রহমান শিশির একজন কুখ্যাত এবং অসভ্য তথা দুর্নীতিবাজ  বিমান অফিসার।দুদকে তার নামে মামলা রয়েছে বলৈ জানা যায়।তার বাড়ি পটুয়াখালী।।

মাত্র এইচএসসি পাশ করে বিমানের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন।

পরবর্তীকালে প্রাইভেটে ডিগ্রী পাস করে বিমানের ট্রাফিক শাখায় ডিপার্টমেন্ট পরিবর্তন করে জয়েন করেন।

বিমানের ডিপার্টমেন্টে চেঞ্জ করার তার মূল উদ্দেশ্য ছিল এয়ারপোর্টে কাজ করে বিভিন্ন রকম অনৈতিকভাবে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে ভাগ্য পরিবর্তন করা।যার শুরু  সেই ২০০৪ সালের দিকে সিলেটে পোষ্টিং নিয়ে    যাএীদের ব্যাগেজ পাচার করার মাধ্যমে।

 

পরবর্তীকালে ঢাকায় ২০০৯ থেকে ২০১৯ পযর্ন্ত ঢাকা এয়ারপোর্ট –এ শ্রমিকলীগ নেতাগিরি করে সহকর্মীদের অন্যায়ভাবে ট্রান্সফার- বদলি। মানব পাচার , বিমানের রেভিনিউ চুরি , সোনা চোরাকারবাড়ি থেকে এহেন কাজ নেই- যা শিশির করেননি ।

 

অফিসে ফাকি দেয়ার অভিযোগও ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। কখনও  ডিউটি পোস্টে  করতেন  না।

আওয়ামীলীগ এর অংগ সংগঠন শ্রমিক লীগে নেতা হিসেবে সর্বোচ্চ অনৈতিক সুবিধা ভোগ করতেন।

২০১৯ সালে বিমান কর্তৃপক্ষ তাকে তার অন্যায় কাজের শাস্তি স্বরূপ সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট- এ পোষ্টিং ( বদলি ) দিলে সেই সময়ের আওয়ামীলীগ- এর প্রভাবশালী নেতা  নানক এবং তোফায়েল আহমেদ- এর হাতে- পায়ে ধরে তদবির করে সিলেটে পোষ্টিং নেয়। সিলেট আসার পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন।

সিলেটের যাএীদের নানাভাবে হয়রানী করা এবং কেউ তার সাথে কন্ট্রাক্ট না করলে বৈধভাবে পাওয়া ভিজিট ভিসা থেকে শুরু করে যে কোন ভিসায় বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে  চরমভাবে অসহযোগিতা এবং অন্যায় আচরণ করে সম্মানিত যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করতেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে।

তার আওয়ামী পরিচয়ে সিলেটের অনেক আওয়ামীলীগ  নেতা- নেত্রীদের আত্মীয় স্বজনদের অনৈতিক সুবিধা  দিয়ে বিমানকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন- যা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।

সিলেটি এয়ারপোর্টে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা এবং  এজেন্সি তার সম্পর্কে সকল তথ্য  খতিয়ে দেখছে।

কোমলমতি শিশুদের এই সার্বিক আন্দোলনকে নিয়ে সে তার ফেসবুকে চরম কট্টর বাদী পোস্ট দিয়ে সার্বজনীন এই আন্দোলনকে ইনসাল্ট করে বাজে কথাবার্তা লেখালেখি করে।

 

যেই  মুহূর্তে শেখ হাসিনার পতন ঘটে সাথে সাথে মিজানুর রহমান শিশির তার ফেসবুকের ওয়াল থেকে পোস্টগুলো ডিলিট করে রাখে। কিন্তু মুহূর্তে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন লোকজন তা সংরক্ষণ করে রাখে।।

জানা যায়, তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি মামলা চলমান আছে।

 

সর্বশেষ এই কোটা আন্দোলন যখন সফলতার দিকে এগোচ্ছে মিজানুর রহমান শিশির সিলেট থেকে আওয়ামীলীগ  নেতা নেত্রীদের এয়ারপোর্ট দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেএে সবচেয়ে বেশী সহযোগীতা করেছে এই শ্রমিকলীগ নেতা।

 

এই মিজানুর রহমান শিশিররা হলো  সাবেক আইজিপি  বেনজির এবং দুর্নীতিবাজ মতিউরদের একই আত্মা।

এদের বিচারের আওতায় আনা  সময়ের দাবী।

মিজানুর রহমান শিশির একজন বিমানের জুনিয়র গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার।সিলেট এয়ারপোর্টে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা এবং  এজেন্সি তার সম্পর্কে সকল তথ্য জানে।ঢাকা এয়ারপোর্ট- এ

তার এই সকল কাজের সহযোগী ছিলেন তৎকালীন বিমান শ্রমিকলীগ  প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে বিমানের কানাডার ষ্টেশন ম্যানেজার  মশিকুর রহমান, জুনিয়র গ্রাউন্ড  সার্ভিস অফিসার জি এম জাকির।

জুনিয়র গ্রাউন্ড  সার্ভিস অফিসার  সাখাওয়াত হোসেন বর্তমান শ্রমিক লীগ তথা বিমান সিবিএর সাধারণ সম্পাদক।গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট আজিজুর রহমান বর্তমানে ঢাকা এয়ারপোর্টের বিমানের ডমেস্টিক সেকশনে কর্মরত আছে।তার আরো অন্যতম সহযোগী ছিলেন সিলেটের তৎকালীন ষ্টেশন ম্যানেজার এবং বর্তমানে বিমানের জেদ্দার ষ্টেশন ম্যানেজার  আবদুস সাওার।

উল্লেখ্য ,এই  আব্দুস সাত্তার হচ্ছেন পুলিশের ডিআইজি  আব্দুল বাতেনের বড় ভাই।।