গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ‘একুশে বার্তা’ পত্রিকায় আমার (সঞ্জয় কুমার রায়, সহকারী পরিচালক, এটিএম, শাহ্ মখদুম বিমান বন্দর, রাজশাহী) বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

ডেস্ক রিপোর্ট: নিচে আমার বিরুদ্ধে আনীত প্রতিটি অসত্য অভিযোগের যুক্তি খন্ডন ও সত্যতা প্রকাশ করে জন ভ্রান্তি দূর করতে সচেষ্ট থাকব।
সংবাদে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মালম্বী হওয়ার কারণে কথিত ইসকন সদস্য ট্যাগ দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের সাথে ইস্কনের কোন সংশ্লিষ্টাতা কখনোই ছিল না। এমনকি আমি এবং আমার পরিবার কখনো বিদেশ কিংবা ভারত ভ্রমন করিনি। কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হল।
শেখ পরিবারের ঘনিষ্ট বলে উল্লেখ করা হলেও ব্যক্তিগত এবং পরিবারিকভাবে শেখ পরিবারের কারো সাথে আমার বা আমার পরিবারের জানাশোনা বা যোগাযোগ কখনোই ছিল না। এরকম বিভ্রান্তকর তথ্য কেউ কখনো প্রমাণ করতে পারবেনা।
আমার স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয় এবং কর্মজীবনে কোনোপ্রকার রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতা ছিল না, ক্যাডার তো দূরের কথা। আমি পড়াশোনা করেছি জি.কে. এস.কে আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (গজেন্দ্রপুর), ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ (ঢাকা) এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় (৩৬তম ব্যাচ, গণিত)। রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট না বিষয়টি আমার সহপাঠী/ শিক্ষকদের কাছে খোঁজ নিলে খুব সহজেই সত্যতা মিলবে।
ছাত্র-জনতার বিপ্লব বিরোধী কোনো ফেসবুক পোষ্ট আমি কখনই করিনি বরং ছাত্র-জনতার নৈতিক দাবিকে আমি সবসময় সমর্থন করি এবং করেছি। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এডিটিংয়ের মাধ্যমে অনেক কিছু করা সম্ভব এটাকে ঢালাও প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না। বর্তমান সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা ছিল এবং আছে।
গত ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত শাহ্ মখদুম কন্ট্রোল টাওয়ারে ডিউটি করছি। রাজনীতিতে অসম্পৃক্তা এবং রাজশাহীতে নতুন হওয়ার কারণে আওয়ামী দোসর তো দূরের কথা বহিরাগত কোনো লোকজনের সাথেও আমার কোনো কথা বার্তা হয়নি। আমি আমার সহকর্মী এবং পরিবারের সাথেই সময় কাটিয়েছি।
আমি চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে ঢাকা কন্ট্রোল টাওয়ারে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলাম এবং বর্তমানে শাহ্ মখদুম বিমানবন্দরে কর্মরত। চাকুরির এই দীর্ঘ সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা মেনে চলেছি এবং তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেকই কাজ করেছি। সরকারি চাকুরির আইন এবং বিধিমালা পরিপন্থী কোনো প্রকার কাজ আমি কখনোই করিনি। আমার বিরুদ্ধে চাকুরী

সংক্রান্ত কিংবা দুর্নীতির কোনো অভিযোগ কখনই ছিলো না। নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ সম্ভব হয় একটি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে। এই টিমে থাকেন ফায়ার স্টেশন, এমটিডি, সিভিল, সিকিউরিটি, সিএনএস, কন্ট্রোল টাওয়ার এবং সংশ্লিষ্ট সবাই। গত পাঁচ মাসের পূর্ণ তদন্ত করলে বোঝা যাবে যে নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে আমার ভূমিকা কত খানি ছিলো এবং কে বা কারা বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণের ঝুঁকি তৈরি করছে। কিছু কিছু বিষয় সময়ে সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পরিশেষে, শাহ্ মখদুম বিমানবন্দরে কর্মরত কিছু স্বার্থান্বেষী, অনৈতিক সুবিধাভোগী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, স্বাক্ষরজালকারী, দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলাকারী, ক্ষমতা লিপু, দুনীতি পরায়ণকারী, সিন্ডিকেট পরিচালনা কারী কতিপয় কর্মকতা/ কর্মচারি আমার উপর ক্ষিপ্ত হওয়ায় এ ধরনের মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মানহানি এবং সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে বলে আমি মনে করি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমার বিনীত আবেদন এ অসত্য, ভিত্তিহীন সংবাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উন্মোচন করে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হোক।