ঘাটাইলের দেওপাড়া,ধলাপাড়া, শিবেরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এম্বুলেন্স করে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে মাইকিং, রাতভর পুলিশি টহল জোরদার

সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে গুজবে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গভীর রাতে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং করে বলা হয়েছে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে সবাই সাবধানে থাকেন। এতে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ডাকাত আতঙ্কে বহু এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। তবে প্রশাসন  এ ঘটনাকে সম্পূর্ণই গুজব বলে মন্তব্য করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে হঠাৎ ঘাটাইল উপজেলার বিস্তীর্ণ পাহাড়িয়া অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে ডাকাত ছড়িয়ে পড়েছে বলে মাইকিং করা হয়। এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপজেলা জুড়ে। এতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশের তৎপরতাও বেড়ে যায়। মহাসড়কসহ এর আশপাশের গ্রামগুলোতে পুলিশ টহল বাড়ায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত (২৪ এপ্রিল) রাত ১ টার দিকে  উপজেলার সাগরদীঘি, ধলাপাড়া, দেওপাড়া, শিবের পাড়া, বারইপাড়া, ভবনদত্ত, দেলুটিয়া,  দিগর, দিঘলকান্দি ইউনিয়নসহ অন্যান্য সকল ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় গভীর রাতে একযোগে মাইকিং করে বলা হয়েছে এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে, সবাই হুশিয়ার সাবধান।

এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোটা ও টর্চলাইট নিয়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। এতে সাধারণ মানুষজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

উপজেলার শিবের পাড়ার লোকজন  জানান, মসজিদের মাইকিং শুনে খুবই ভয় পেয়েছিলাম। রাতে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বিষয়টি গুজব হলেও রাতে সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে সাঘরদিঘী ইউনিয়ন থেকে খাদেমুল মামুন বলেন, গভীর রাতে আমাদের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতের কথা শুনে এলাকার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে। তবে কোথাও কোন ডাকাতের বা ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আলম বলেন, মাইকিং শুনে বিভিন্ন এলাকায় টহল পুলিশ নিয়ে বের হয়ে টহল জোরদার করেছি। কোথাও ডাকাতি ঘটনার সত্যতা পাইনি ।