বিশেষ সংবাদদাতা : ইজিপি ব্যতীত কোন ঠিকাদারি কাজের টেন্ডার করা যাবে না, কাজের প্রাক্কলনেও ইজিপির সীলমোহর সাটিয়ের দেয়া হয়েছে- মন্ত্রণালয়ের এমন আদেশকে থোরাইকেয়ার করে জরুরী তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন বিমানবন্দরের ঠিকাদারি কাজের দোহাই দিয়ে ৫০ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানের সাথে এক বৈঠকের পর তা অনুমোদন দেয়া হয়। ওই বৈঠকে সিএএবির সকল মেম্বার, প্রধান প্রকৌশলীসহ তিন ডিভিশনের ৬ নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। আর এ ক্ষেত্রে মূখ্য ভ’মিকা রাখেন সিভিল ডিভিশন-১- এর নির্বার্হী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। তিন ডিভিশনের ৬ জন নির্বাহী প্রকৌশলী যেমন: সিডি-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোকাব্বর আলি, ইএম-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জাকারিয়া, সিডি-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান, ইএম-১ ও ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আছির উদ্দিন এবং শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে জরুরী তাৎক্ষণিকভাবে ৭ দিনের মধ্যে বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের কথা বলে চেয়ারম্যানের সাথে এক বৈঠকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয়। এরমধ্যে সিডি-১ –এর জন্য ২০ কোটি টাকা বাকি টাকা অন্যান্য ডিভিশনের জন্য বরাদ্দ করানো হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জরুরী তাৎক্ষণিকভাবে ৭ দিনের মধ্যে কাজের কথা বলে ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করিয়ে নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা তাদের পছšেদর/ পিয়ারের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের ফন্দিফিকির করা হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, জরুরীভিত্তিতে কাজ করলেও ৭ দিন, ইজিপিতে কাজ করলেও ৭ দিন সময় লাগার কথা। কিন্ত এরপরও জরুরী কাজের দোহাই দিয়ে ইজিপির বাইরে ৫০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করবার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন সিএএবির চেয়ারম্যান। এতে করে টেন্ডারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকবে না। প্রকৌশলী ও ঠিকাদার মিলে কোটি কোটি টাক লুটপাট করবে।্ এতে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সূত্র জানায় , গত অর্থবছরে জরুরী তাৎক্ষণিক কাজের নোট দিয়ে কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১০০টি টেন্ডারের ব্যয় মনজুরি পর্যায়ে চেয়ারম্যানের অনুমোদনের জন্য চেয়ারম্যনের দপ্তওে পাঠানো হলে চেয়ারম্যান তা বাতিল করে দেন। কিন্ত এ নিয়ে ঠিকাদাররা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তা আবার চেয়ারম্যাানের থেকে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। সুত্র জানায়, গত অর্থ বছরে জরুরী তাৎক্ষনিকভাবে এলটিএম পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া ঠিকাদারী কাজের হিস্যা নেয়ার জন্য বিমান মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দুদকও বিষয়টি তদন্ত করছে। বিমানমন্ত্রীর পিএস আতিক ইজিপির বাইরে বা ইজিপি ব্যতীত গত অর্থ বছরে প্রায় ৩ শ’ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যে সিএএবির চেয়ারম্যান তিনটি বিমানবন্দরের ( বরিশাল ,সৈয়দপুর ও যশোহর) ইজিপির বাইরে টেন্ডার করায় তা আটকে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তদবির করে তা অনুমোদন করিয়ে নেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ইজিপি পদ্ধতিতে টেন্ডার করার পরও সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে পুন: টেন্ডার করা হচ্ছে। আর ‘সিমিলিয়ার’ শব্দ টেন্ডার সিডিউলে জুড়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট ওই কাজের দক্ষতা আছে এমন ঠিকাদারের ফার্মের নামে কার্যাদেশ দিয়ে ঠিকাদারি কাজ করানোর ফলে সিএএবির কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। এই ‘সিমিলিয়ার’ শব্দ সিডিউলে জুড়ে দেয়ায় সিএএবি ব্যতীত বাইরের কোন সংস্থার কোন ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নিতে পারছে না। আবার সিএএবির অনুমোদিত ঠিকাদাররাও ‘সিমিলিয়ার’ শব্দ থাকায় ওই কাজের পূর্ব দক্ষতা না থাকায় সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও কার্যাদেশ পাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, টেন্ডার সিডিউলে ‘সিমিলিয়ার’ শব্দ জুড়ে দেয়ার ইএম বিভাগের ৯০ লাখ টাকার একটি ঠিকাদারি কাজের আইনের আশ্রয় নেয়া হয়। পরবর্তীতে কাজটির টেন্ডার করায় কাজটিতে সিএএবির বাইরের সংস্থার ঠিকাদাররা অংশ নেয়ায় সুযোগ পাওয়ায় ২৫ লাখ টাকায় কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিএএবির ৬৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
সূত্র জানায় , ‘সিমিলিয়ার’ বা কাজের পূর্ব অভিঞ্গতা বা দক্ষতাজনিত শব্দটি অহরহ জুড়ে দিচ্ছেন ইএম-১ ও ২-এর বিভাগের দুজন নির্বাহী প্রকৌশলী। এ পদ্ধতিতে ইজিপিতে টেন্ডার হলেও সিএএবির বাইরের সংস্থার কোন ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নিতে পারছে না। আর সিএএবির ঠিকাদারদের মধ্যেও যাদের সংশ্লিষ্ট ওই কাজের অভিঞ্গতা নাই তারাও সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও কার্যাদেশ পাচ্ছে না।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)