খুলনার দেয়া ১৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। নবম ওভারে মাত্র ৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় সাকিব আল হাসানের দল।
শুরুতে মাত্র ৪ রানে ফিরে যেতে হয় লিউইস কে। এরপর ৭ রানে সুনিল নারিন, ১ রানে শহীদ আফ্রিদি, ২ রানে ডেলপোর্ট, ২০ রানে সাকিব আল হাসান আউট হন।
তবে পোলার্ডের ঝড়ো ইনিংসে (২৩ বলে ৫৫ রান) ম্যাচ কন্ট্রোলে আনে ঢাকা। তবে পোলার্ডের আউটের পর কিছুটা স্বস্তিতে খুলনা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকার সংগ্রহ ১৪.৩ বলে ৬ উইকেটে ১১৪ রান। ব্যাটিংয়ে আছেন জহুরুল ইসলাম এবং মোসাদ্দেক হোসেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডায়নামাইটস দলপতি সাকিব আল হাসান। পেসার মোহাম্মদ শহীদকে বসিয়ে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে নাদিফ চৌধুরীকে যুক্ত করে ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট। খুলনা একাদশে পরিবর্তন দু’টি। আকিলা ধনাঞ্জয়া ও ধীমান ঘোষের কাছে জায়গা হারান চাদউইক ওয়াল্টন ও মোশাররফ হোসেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা স্বস্তি পায়নি খুলনা। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ২৫ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে করেন ২৪ রান। মাইকেল ক্লিনগার ১৪ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নেমে ধীমান ঘোষ করেন মাত্র ২ রান। দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ১০ বলে ১৪ রান করেন।
এরপর কিছুটা হাল ধরেন রিলে রুশো এবং কার্লোস ব্রাথওয়েইট। ৩৩ বলে ৫৪ রান তুলে নেয় এই জুটি। ৩০ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করেন রুশো। ২৫ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রাথওয়েইট। ৪টি চার আর ৬টি ছক্কায় ২৯ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রাথওয়েইট। আরিফুল হক ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকা ৭ বোলার ব্যবহার করে। শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১টি, সাকিব আল হাসান ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ১টি, আবু হায়দার রনি ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২টি, সুনীল নারাইন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। কাইরন পোলার্ড ১ ওভারে ১৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। খালেদ আহমেদ ১ ওভারে ৯ রান দিয়ে উইকেট পাননি।