ডেক্স রিপোর্ট : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের মোয়াজ্জিন হামলার ঘটনায় নিহত ড. আ. সামাদ । তিনি আল নূর মসজিদে আজান দিতেন। তিন বাংলাদেশির মধ্যে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা ড. মো. আবদুস সামাদ। তিনি নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার পূর্ব নাগেশ্বরীর মধুরহাইল্লা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই ও নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এ কে এম শামসুদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই আমরা নিউজিল্যান্ড থেকে মেসেজ পেয়েছি যে আমাদের ভাই ড. মো. আবদুস সামাদ বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে আমার ভাবি ও তাদের দুই ছেলে ভাল আছেন।
তিনি আরও বলেন, ড. আবদুস সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ছিলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮০ সালে প্রফেসর ড. আবদুস সামাদ কৃষিতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি একবছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরি করেছেন। চাকরিরত অবস্থায় ১৯৮৮ সালে তিনি নিউজিল্যান্ডের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ওই সময় নিউজিল্যান্ডেই তার দুই ছেলের জন্ম হয়।
গত ৮/১০ বছর ধরে স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন। তবে মাঝে মধ্যে তিনি দেশে আসতেন।
নিহত ড. আবদুস সামাদের ছোট ভাই আবদুল কাদেরের বরাত দিয়ে ভাই শামসুদ্দিন আরো বলেন, ‘আমার ছোট ভাই কাদেরের সঙ্গে আমার ভাবির কথা হয়েছে। তিনি ও তাদের দুই ছেলে ভাল আছেন। আমরা সবসময় খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
প্রসঙ্গত, হামলার ঘটনায় শেষ খবর পর্যন্ত ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৪৯ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রধান হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ান বলে জানা গেছে।