স্টাফ রিপোর্টার : বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারী হিসেবে ৯০ পুলিশ কর্মকর্তার নাম দিয়ে সচিবালয়ের দেয়ালে সাটানো হয়েছে ব্যানার। বৈষম্যের শিকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স ফোরামে ব্যানারে করা এই তালিকায় থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও তাদের বিচার দাবি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের এই তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে গুম,খুন, নির্যাতন, গায়েবী মামলা রুজু, শাপলা চত্বর হত্যাকান্ড, একতরফা নির্বাচন ( ২০১৪), দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচন ( ২০১৮) এবং ডামি নির্বাচন ( ২০২৪) অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা হলেন: মো. শফিকুল্লাহ, প্রাক্তন ডিআইজি (পরিচালক এনএসআই), সানাউল হক, প্রাক্তন আইজিপি (সমন্বয়ক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল), নূর মোহাম্মদ, প্রাক্তন আইজিপি, নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, প্রাক্তন অতিরিক্ত আইজিপি, হাসান মাহমুদ খোন্দকার, প্রাক্তন আইজিপি, মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, প্রাক্তন আইজিপি, এ কে এম শহীদুল হক, প্রাক্তন আইজিপি, মো. মোখলেসুর রহমান, প্রাক্তন অতি আইজিপি ও ডিজি র্যাব, শেখ হিমায়েত হোসেন, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. মোখলেসুর রহমান, প্রাক্তন অতি আইজিপি, বেনজীর আহমেদ, প্রাক্তন আইজিপি, মইনুর রহমান চৌধুরী, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, প্রাক্তন অতি আইজিপি (পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি), বিনয় কৃষ্ণ বালা, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. মকবুল হোসেন, প্রাক্তন ডিআইজি, মো. হুমায়ুন কবীর, প্রাক্তন ডিআইজি, মো: আব্দুল জলিল মন্ডল, প্রাক্তন ডিআইজি, মিলি বিশ্বাস, প্রাক্তন ডিআইজি, মীর শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. শফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন অতি আইজিপি (পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি), মো. ইকবাল বাহার, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মোশারফ হোসেন, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. শাহাবুদ্দিন কোরেশী, প্রাক্তন অতি আইজিপি, ব্যা. মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন অতি আইজিপি, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রাক্তন আইজিপি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফাতেমী, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মাহবুব হোসেন (এসবি), প্রাক্তন অতি আইজিপি, এসএম মনিরুজ্জামান, প্রাক্তন ডিআইজি ২৯. এ এস এম নুরুজ্জামান, প্রাক্তন ডিআইজি, মো. রুহুল আমিন, প্রাক্তন অতি আইজিপি, কামরুল আহসান, অতি, আইজিপি, মল্লিক ফকরুল ইসলাম, অতি আইজিপি, খন্দকার গোলাম ফারুক, প্রাক্তন অতি আইজিপি (পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি), মো. দীদার আহমদ, প্রাক্তন অতি আইজিপি, আতিকুল ইসলাম, প্রাক্তন অতি আইজিপি, এম খুরশীদ হোসেন, প্রাক্তন অতি আইজিপি।
উল্লিখিত ৩ টি নির্বাচনকালে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন: মো. শফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন অতি আইজিপি, আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, অতি. আইজিপি. গোলাম কিবরিয়া, অতি, আইজিপি, বনজ কুমার মজুমদার, প্রাক্তন অতি আইজিপি, হাসানুল হায়দার, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. হুমায়ুন কবির, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. মনিরুল ইসলাম, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. শাহাবুদ্দিন খান, অতি আইজিপি, ওয়াই এম বেলালুর রহমান, অতি, আইজিপি, মো. মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন অতি আইজিপি, ব্যা.হারুনুর রশিদ, অতি, আইজিপি (ডিজি, র্যাব), মীর রেজাউল আলম, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মোহাম্মদ আলী মিয়া, প্রাক্তন অতি আইজিপি, দেবদাস ভট্টাচার্য, অতি, আইজিপি, লুৎফুল কবীর, প্রাক্তন অতি আইজিপি, মো. আলীম মাহমুদ, অতি, আইজিপি, কৃষ্ণপদ রায়, প্রাক্তন অতি, আইজিপি ৫৪. মো. মীজানুর রহমান, এসপি, বশির আহম্মদ, , ডিআইজি, হাবিবুর রহমান, প্রাক্তন অতি আইজিপি ( পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি), মো. আনোয়ার হোসেন, প্রাক্তন অতি আইজিপি, এ কে এম হাফিজ আক্তার, প্রাক্তন অতি আইজিপি, খ. মহিদ উদ্দীন, অতি, আইজিপি, মো. আ. বাতেন, প্রাক্তন ডিআইজি, চৌ. মঞ্জুরুল কবির, প্রাক্তন অতি, ডিআইজি, শেখ নাজমুল আলম, প্রাক্তন ডিআইজি, মো. আবুল ফয়েজ, ডিআইজি, মো. ইমাম হোসেন, প্রাক্তন ডিআইজি, আমেনা বেগম, ডিআইজি, মো. মোজাম্মেল হক, প্রাক্তন ডিআইজি, মো. মনিরুজ্জামান, প্রাক্তন ডিআইজি, মো. আসাদুজ্জামান, প্রাক্তন ডিআইজি, শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার, ডিআইজি, আতিকা ইসলাম, ডিআইজি, ফারহাদ আহমেদ, অতি, ডিআইজি ৭২. শাহ মিজান শফিউর রহমান, ডিআইজি, মো. বরকতুল্লা খান, অতি, ডিআইজি, মোল্লা নজরুল ইসলাম, ডিআইজি , মইনুল হক, ডিআইজি, ইলিয়াস শরীফ, ডিআইজি, নূরে আলম মিনা, ডিআইজি, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ডিআইজি, এস এম মোস্তাক আহমদ খান, ডিআইজি, মো. রোকন উদ্দিন, ডিআইজি, আলমগীর কবির, অতি, ডিআইজি,মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ডিআইজি (ডিএমপি ডিবি প্রধান), শামসুন্নাহার, অতি, ডিআইজি, আয়েশা সিদ্দিকা, অতি, ডিআইজি, মো. শহীদুল্লাহ্, অতি, ডিআইজি, বিপ্লব কুমার সরকার, অতি. ডিআইজি, এসএম মেহেদী হাসান, অতি, ডিআইজি, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, অতি, ডিআইজি ৮৯. শামীমা বেগম, ডিআইজি, আব্দুল কাহার আকন্দ, প্রাক্তন অতি ডিআইজি।
ব্যানারে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডি আই জি, জেলার এস পি, মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা । অবিলম্বে এদের চাকুরিচ্যুতিসহ বিচার চাই ।
এদিকে আলোচিত এ ব্যানারটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। শুরু হয় তোলপাড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বিগত হাসিনা সরকারের দোসর কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। অবিলম্বে এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, এদের আইনের আওতায় না আনা হলে তারা ষড়যন্ত্র করতেই থাকবে। পুলিশ জনগনকে সেবা দেয়ার যে কাঙ্খিত লক্ষ্য সেটি অর্জিত হবেনা।
