একুশে বার্তা রিপোর্ট : বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দপ্তরের উপপরিচালক (এভসেক ট্রেনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন) রাশিদা সুলতানাকে বদলি করা হয়েছে।১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার তাঁকে পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগে বদলি করা হয়। কিন্ত তার বদলি বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ বেবিচক চেয়ারম্যানকে ফোন করেন বলে বেবিচক সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, রাশিদা সুলতানা মানসিকভাবে ভারসাম্য কিনা তা প্রমাণের জন্য বেবিচক থেকে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন অফিসে এক দাপ্তরিক চিঠি দেয়া, কিন্ত তা এখনও আলোরমুখ দেখল না।
বেবিচক সূত্র বলছে, রাশিদা সুলতানা তাঁর বদলি আদেশ প্রত্যাহার করার চেষ্টা করছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে বেবিচক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে। পরে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
তার ( রাশিদার) বদলি ঠেকানোর জন্য সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ তদবির করছেন বলে বেবিচক সূত্রে জানা যায়। ওই উপদেষ্টা রাশিদার বদলি প্রত্যাহারের জন্য বেবিচক চেয়ারম্যানকে নাকি ফোনও করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বিব্রতবোধ করছেন বলেও জানা যায়।
গত বছরের জুনে বেবিচকের তদন্ত কমিটি রাশিদার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে তাঁকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করে; কিন্তু তাঁকে কোথাও বদলি করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে বেবিচকের এক শীর্ষ কর্মকর্তার হাত থাকার অভিযোগ রয়েছে।তিনি নাকি এতোদিন রাশিদাকে আগলে রেখেছেন।
রাশিদার বিরুদ্ধে নতুন করে পাঁচটি ‘গুরুতর’ অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্তে গত ১২ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বেবিচক।
রাশিদা সুলতানা কোটায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে সাবেকমন্ত্রী র,আ,ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধূরির সুপারিশে ১৯৯৮ সালে নিরাপত্তা অফিসার হিসেবে বেবিচকে যোগদান করেন। সেই থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে। তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট ভেস্তে যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন পরিচয়ধারি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বেবিচক কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক এ্যাকশন নিতে সাহস পায়নি। কিন্ত সরকার পতনের পর তাকে লান্ঞিত করার পর অবস্থা বেগতিক দেখে রাশিদাকে পাবনার ঈশ্বরদিতে বদলি করা হলো।