বেবিচকের ২০৩০ সালের পরিকল্পনা : সচল হতে হচ্ছে দেশের পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর: রিপিয়ারিং এন্ড মেইনটেনেন্স-এর নামে যেন হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট না হয় : যেন ঈশ্বরদীর পুনরাবৃত্তি না ঘটে: কন্ট্রাক্টরস-ইনজিনিয়ার সিন্ডিকেড

নিউজ ডেক্স : আবারও আটঘাট ভেধে দেশের ৭ বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্ৃপক্ষ-বেবিচক। ইতিমদ্যেই আবার সিন্ডিকেড নিউজ প্রচারিত হচ্ছে। ইতিপূর্ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিমানবন্দর রিপিয়ারিং, মেরামত, রক্ষাণাবেক্ষণ, জায়গা নির্াচন,প রিদর্ন ও সমীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে এবং দুদক তা খতিয়ে দেখছে। এখানে ইনজিয়ার- কন্ট্রাক্টর সিন্ডিকেড মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

ইতিপূর্ ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে ঢাকঢোল পিটিয়ে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু করলেও একমাস পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এবারও আবার ঈশ্বরদীর মতো ঈশ্বরদীকে সাথে করেই দেশের ৭ পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বেবিচক কতৃৃপক্ষ। এবারও  ইনজিনিয়ার -কন্ট্রাক্টরস সিন্ডিকেড কাজ করার পায়তারা করছে। একজন বড়মাপের কন্ট্রাক্টর –যিনি গত সরকারের আমলে রাডারের কাজ করতে গিয়ে ছিটকে পড়েছেন—যিনি আবার বিএনপির একজন বড় মাপের নেতার ভাগিনা বটে,এবার আবার তার নেতৃত্বে দেশের ৭ বিমানবন্দরের সচল করে অপারেশনে যাবার জন্য বেবিচক রিপেয়ারিং এন্ড মেইনটেনেন্স-এর নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। কিন্ত সব বিমানবন্দর কি অপারেশনে যাবে না কোনটা মুখথুবড়ে পড়বে—এ প্রশ্ন অনেকের। তবে দুদক এবং গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করলে লুটপাটের মহড়া থেকে রেহাই পেতে পারে বেবিচক।

জানা যায়, বিভিন্ন  জেলায় বিমানবন্দর রয়েছে ২৮টি। অভ্যন্তরীণ রুটে বর্তমানে ৮টি বিমানবন্দর সচল রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অনেকগুলো বিমানবন্দর পরিত্যক্ত, অব্যবহৃত ও নির্মাণাধীন। পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত ৭টি বিমানবন্দর নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

নতুন যুক্ত হতে যাওয়া বিমানবন্দরগুলো হচ্ছে– ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, বগুড়া, শমসেরনগর, কুমিল্লা ও তেজগাঁও বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরগুলো চালু হলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটবে এবং যাত্রী পরিবহণ বাড়বে।টাংগাইল বিমানবন্দর বছরের পর বছর পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও এটার কথা বেবিচক বেমালুম ভুলে যায়।

ইতোমধ্যেই এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বেবিচকের ২০৩০ সালের কর্মপরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অভ্যন্তরীণ রুটে বর্তমানে সচল বিমানবন্দরগুলো হলো- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, যশোর, সৈয়দপুর ও কক্সবাজার। এসব বন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করে।এরমধ্যে আরো ৭টি চালু হলে মোট বিমানবন্দর হবে ১৫ টি।