বেবিচকের ৬ ‘দানবের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, চাকরিচ্যুত করার দাবি: পিএসগিরি করা সোহেল কামরুজ্জামান এখনও বহাল, চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে তাকে সরিয়ে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে না, এদের মদদদাতা সাবেক সচিব মোকাম্মেল

একুশে বার্তা রিপোর্ট : ৪ চেয়ারম্যানের আমলে পিএসগিরি করা, এক অর্ধ শিক্ষিত সোর্স গণমাধ্যম কর্মীর সাথে ফিফটি ফিফটি ঠিকাদারি ব্যবসা করা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ-দানব উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সোহেল কামরুজ্জামানসহ বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৬ কর্মকর্তাকে ‘দুর্নীতিবাজ-দানব’ উল্লেখ করে তাদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কর্মচারীরা। কিন্ত বেবিচক কর্তৃপক্ষ এদেরকে তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত না করে আগলে রেখেছেন। এই দানব সোহেল কামরুজ্জামান চেয়ারম্যানের দপ্তরেই কর্মরত। অন্যদিকে দানব-দুর্নীতিবাজ রাশিদা সুলতানাকে চাকরিচ্যুত না করে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে বদলি করে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কুর্মিটোলা বেবিচক কার্যালয়ে সকাল থেকে কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
বেবিচকের ওই ৬ কর্তা হলেন— বেবিচকের নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক রাশিদা সুলতানা, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, শাহজালাল বিমানবন্দর ভাণ্ডার শাখার সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আনন্দ মন্ডল, প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক সোহেল কামরুজ্জামান, যিনি চেয়ারম্যানের পিএসগিরি করছেন, তাকে ফ্লাইট সেফটিতে বদলি করা হলেও সংযুক্তি করা হয়েছে চেয়ারম্যানের দপ্তরে।
পরিচালক মানব সম্পদ এ কেরামতি দেখিয়েছেন বলে জানা যায়। কারণ এই পরিচালকের বাণিজ্য হচ্ছে বদলি-পদায়ন-সংযুক্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য, ব্লাকবল এ পদ কব্জা করে তিনি দিব্যি বসে আছেন, তাকে এখান থেকে সরায় এমন সাধ্য কার?
বিক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মচারীরা বলেন, এই ৬ জন খুনি হাসিনা রেজিমের দোসর। তারা গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে বেবিচকের কর্মকর্তাদের ওপর অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে দানবে পরিণত হয়েছেন তারা। আমরা অনতিবিলম্বে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি চাই।
খুনি হাসিনার দোসর রাশিদা সুলতানা প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যানকে বলে কয়ে ৬০ জন সহকারি পরিচালককে ওভারটেক করে হাতেগোনা ৫ দানবকে ডিডির চলতি দায়িত্বের তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন, এই ৫ জন রাশিদার পেয়ারের লোক বলে বেবিচকে চাউড় হয়েছে।
এক কর্মচারী বলেন, এই ৬ কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলি বাণিজ্য করেছেন। যাকে যেখানে খুশি বদলি করেছেন, প্রোমোশন আটকে রেখেছেন, বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছেন, তাদের কথামতো কাজ না করলেই বিএনপি-জামায়াতসহ দলীয় ট্যাগ দিয়ে অফিসিয়াল প্রাপ্য সুযোগ -সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতেন। কর্মকর্তাদের অনেকেই আবাসন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলেও তাদেরকে তা দেননি তারা। আমরা তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাই।
জসীম নামে এক কর্মচারী বলেন, এই কর্মকর্তারা বেবিচকের নানা টেন্ডারবাজির সঙ্গেও জড়িত। তারা অনেকের বিরুদ্ধে ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের কাছে তথ্য দিয়ে প্রোমোশন আটকানোর কাজ করতেন। তাদের নানা কাজে মদদ দিতেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মোকাম্মেল হোসেন। আমরা তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এই সচিব মোকাম্মেলের বউ আছিয়া বেগম দুদক কমিশনার, বোন ফানু আপা খ্যাত বংগবন্ধু পরিষদের সভাপতি। সচিব মোকাম্মেলকে বিমান মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও তার বউ আছিয়া এখনও দুদকে বহাল।
বিমানের সাবেক সচিব মহিবুল হকের দোসর দুই বেবিচক কর্মকর্তা মিলে বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী গোস্বামিকে চাকরিচ্যুত করিয়েছেন, একজন প্রকৌশলীকে বেইজ্জতি করিয়ে পদোন্নতি আটকে দিয়েছেন, একজনকে জেল খাটিয়েছেন বলেও বেবিচকে শোনা যায়।ওই দুই কর্মকর্তার একজন পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলী হন, নবায়ন করান, আবার দ্বিতীয়বার নবায়নের তদবির ভেস্তে যায়। আরেকজন মাদার ডিপার্টমেন্ট থেকেই আউট হয়ে যান।

এ দিকে ঢাকা পোস্ট বেবিচকের ৬ ‘দানবের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, চাকরিচ্যুত করার দাবি’- প্রকাশিত  এই শিরোনামে বলেছে, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৬ কর্মকর্তাকে ‘দুর্নীতিবাজ-দানব’ উল্লেখ করে তাদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কর্মচারীরা। রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কুর্মিটোলা বেবিচক কার্যালয়ে সকাল থেকে কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। বেবিচকের ওই ৬ কর্তা হলেন— বেবিচকের নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক রাশিদা সুলতানা, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, ভাণ্ডার শাখার সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আনন্দ মন্ডল, প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক সোহেল কামরুজ্জামান। বিক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মচারীদের একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা খুনি হাসিনা রেজিমের দোসর। তারা গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে বেবিচকের কর্মকর্তাদের ওপর অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে দানবে পরিণত হয়েছেন তারা। আমরা অনতিবিলম্বে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি চাই।

জাহাঙ্গীর আলম নামে এক কর্মচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলি বাণিজ্য করেছেন। যাকে যেখানে খুশি বদলি করেছেন, প্রোমোশন আটকে রেখেছেন, বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছেন, তাদের কথামতো কাজ না করলেই বিএনপি-জামায়াতসহ দলীয় ট্যাগ দিয়ে অফিসিয়াল প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতেন। কর্মকর্তাদের অনেকেই আবাসন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলেও তাদেরকে তা দেননি তারা। আমরা তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাই। জসীম নামে আরেক কর্মচারী বলেন, এই কর্মকর্তারা বেবিচকের নানা টেন্ডারবাজির সঙ্গেও জড়িত। তারা অনেকের বিরুদ্ধে ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের কাছে তথ্য দিয়ে প্রোমোশন আটকানোর কাজ করতেন। তাদের নানা কাজে মদদ দিতেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হোসেন। আমরা তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।