বেবিচক : আওয়ামী দোসর, আওয়ামী আদর্র্শকে ধারণ করা রাশিদা সুলতানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কর্তৃপক্ষের খোদ চেয়ারম্যানসহ ৩ মেম্বারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে বিষোদগার করছেন

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকের উপপরিচালক রাশিদা সুলতানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কর্তৃপক্ষের খোদ চেয়ারম্যানসহ ৩ মেম্বারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে বিষোদগার করছেন। দৈনিক কালবেলার ভিডিও ভার্সনে গত ২১ আগস্ট তা প্রচার করা হয়েছে। ডিডি রাশিদা সুলতানা স্বীকার করেছেন, একটি আদর্শকে ধারণ করার জন্য আমার এ অবস্থা, আমাকে অফিসে অপমান করা হয়েছে, শারীরিকভাবে এসাল্ট করা হয়েছে, চেয়ারম্যান স্যার এবং ৩ মেম্বার শুধুমাত্র মেম্বার এফএসআর ছাড়া কেউ আমাকে নিরাপত্তা দেননি। রাশিদা সুলতানা বলেন, ১ দিনের জন্য হলেও আমি চেয়ারম্যানের অধীনে চাকরি করছি, কিন্ত একজন নারী হওয়া সত্বেও চেয়ারম্যান স্যার আমার নিরাপত্তা দেননি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নারী উপদেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, আমি এর বিচার চাই। তার বক্তব্যে বেবিচকের একজন কর্মকর্তার সরাসরি নাম উল্লেখ করেন, তার বাড়ি বগুড়া বলেও রাশিদা গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন।
রাশিদা গণমাধ্যমে বলেন, আমি একজন সৎ অফিসার, জীবনে ঘুষ খাইনি, দুর্নীতি করিনি, আমার একটা গাড়িও নাই।
অথচ রাশিদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে স্মাগলিং অভিযোগ রয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে। এডি স্বৈপ্লব কুমারকে ভুরি গালিয়ে দেবার অভিযোগও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এসিআর জালিয়াতির অভিযোগসহ নানা অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটি গঠিত হয়েছে। রাশিদরা এসিআর লিখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।যা বেবিচক কর্তৃপক্ষ বরাবর জমা দেয়া হয়েছে।
সচেতন ও অভিঙমহল মনে করেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলা ও গণমাধ্যমে তথ্য ফাস করার অপরাধে বেবিচকের এক প্রকৌশলীকে সাসপেন্ড করা হয়।
এ দিকে অদ্য ২১ আগস্ট ঢাকা পোস্ট অনলাইন ও দৈনিক আমাদের সময়ে বেবিচকে ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠান করার জন্য কর্মচারীদের চাপ দেয়া সংক্রান্ত প্রথক দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা পোস্ট অনলাইনে হেড লাইন করা হয়েছে, আবারও আলোচনা রাশিদা সুলতানা, শোক পালনে চাপ, আন্দোলন বিরোধী কথায় বেবিচকে বাকবিতন্ডা, উত্তেজনা এবং দৈনিক আমাদের সময়ে প্রিন্টিং ও অনলাইনে হেডলাইন করা হয়েছে, ফেসে গেলেন বেবিচক কর্মকর্তা।