বেবিচক : ইএম-১/২-এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদটি খালি হচ্ছে , দায়িত্ব পাচ্ছেন কে? আলোচনায় প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকী

স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, গোয়েন্দা অনাপত্তিতে, দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে তদন্তাধীন এবং ট্রাইব্যুনাল মামলা, বিভাগীয় তদন্ত চলমান থাকাবস্থায় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম-১/২ মো. জাকারিয়া হোসেনকে থার্ড টার্মিনালের স্থায়ী পিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিমান মন্ত্রণালয় থেকে প্রঙাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে থার্ড টার্মিনালের পিডির দায়িত্ব থেকে প্রকৌশলী মকসুদকে সরিয়ে দেয়া হয়।
প্রকৌশলী জাকারিয়াকে থার্ড টার্মিনালের পিডি করায় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম-১/২-এর পদটি খালি হয়েছে সবেমাত্র । এ পদে কাকে পদায়ন করা হবে- তা নিয়ে বেবিচক কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলছে। নাকি জাকারিয়াকেই পিডিগিরির পাশাপাশি আরেকটি দায়িত্ব দিয়ে ডবল দায়িত্ব প্রদান করা হবে? নাকি বড়–য়কে এ পদে আনা হবে? তাহলে বড়–য়ার পদে কাকে দেয়া হবে- ইত্যাকার প্রশ্ন বেবিচকে ঘুরপাক খাচ্ছে।
খোজখবর নিয়ে জানা যায়, ইএম বিভাগে জাকারিয়া-বড়–য়াকে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়ার পর গত ১০ বছরে আর কাউকে এ পদে এ পর্যন্ত পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি।
গত ১০ বছর ধরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসা প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকীকে যোগ্যতা থাকা সত্বেও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি। এখন জাকারিয়াকে পিডি করায় এ পদটি খালি হওয়ায় এ পদে তাকে (প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকী) একটিং হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে পরে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান করা যেতে পারে। আলোচনায় প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকীর নাম আসছে। একমাত্র বিকল্প শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকী, তা না হলে ডবল দায়িত্ব প্লে করতে হবে।
আর এ পদে বসার যোগ্য আর কেউ নেই। ইএম বিভাগে কয়েক জন প্রকৌশলীকে সবেমাত্র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে স্থায়ী করা হয়েছে। তাদের ফিডার পদ পূর্ন হতে আরো ৭ বছর। একমাত্র বিকল্প নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে গত ১০ বছর যাবত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসা প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকী। তাকে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম ১/২-এর দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে।
এদিকে গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে তাকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রকৌশলী শাহরিয়ার সিদ্দিকী চরম বৈষম্যের শিকার।
এ সরকারের আমলে বৈষম্য’র শিকাররা তাদের প্রাপ্য লক্ষ্যবস্তুতে ইতোমধ্যেই পৌছতে সক্ষম হয়েছেন, বেবিচকেই এর প্রমাণ রয়ে গেছে। তা হলে প্রকৌশলী শাহরিয়ার কি পারঘাটাতেই পড়ে থাকবেন? নাকি তার ব্যাপারে বেবিচক কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন ?