স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকের উপপরিচালক ( ট্রেনিং এন্ড সার্টিফিকেশন) চিহ্নিত আওয়ামী দোসর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন পরিচয়দারি রাশিদা সুলতানাকে বেচিকে লান্ঞিতকরন, ঢাকার বাইরে বদলি, যোগদান না করায় প্রত্যাহার, অবশেষে তার বেতনভাতা বন্ধে পরিচালক অর্থকে দাপ্তরিক চিঠি জারি- কোন কিছুই পরোয়া করছেন না । আর বেবিচকও তাকে পাহাড়সম অভিযোগেও কোটায় চাকরি পাওয়া চাকরিচ্যুত করছে না।
এতোকিছুর পরও বেবিচক কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বেবিচক সদর দপ্তরে বসানোর প্রক্রিয়া করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
সূত্রমতে, রাশিদা সুলতানাকে ঢাকার বাইরের বদলি বাতিল করে ঢাকায় পোস্টিং করতে আবারও সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ এবার বিমান সচিবকে ফোন করেছেন। বিমান সচিব বিষয়টি নিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যানকে ফোন করেন। চেয়ারম্যান কিছুটা রাজিখুশি হয়ে একজন মেম্বারের মতামত চান। মেম্বার বিষয়টি নাকোচ করে দিয়েছেন। এবার রাশিদাকে চেয়ারম্যান দপ্তরে বসানোর জন্য প্রক্রিয়া হতে যাচ্ছে বলে সূত্রে জানা যায়।
এর আগেও সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা রাশিদাকে ঢাকার বাইরে বদলি না করার জন্য বেবিচক চেয়ারম্যানকে ফোন করেছিলেন। সে যাত্রার রাশিদার শেষ রক্ষা হয়নি। এবার আবার নতুন করে রাশিদা সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টাকে দিয়ে তদবির করাচ্ছেন।
আওয়ামী দোসর রাশিদা সুলতানা আওয়ামী সরকারের প্রথম আমলে ১৯৯৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে বয়স মার্জনায় কোটায় চাকরি পায়। সেই থেকে ধরাকে সরা ঞ্ঘান করে চলেছেন রাশিদা। কাউকে তোয়াক্কা করেনি, অফিসের উর্ধতন বসের কথাবার্তা মানেননি। এ জন্য সোকজ খেয়েছেন বার বার। তার বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিয়োগ আমলে নেয়নি বেবিচক কর্তৃপক্ষ। তার এসিআর দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরকার পতনের পর জোর করে ১৫ আগস্ট পালনে চাপ সৃষ্টি করায় বেবিচকে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারীরা তাকে অফিসে লান্ঞিত করে। এরপর কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করে।
রাশিদা সুলতানাকে আবার ঢাকায় পোস্টিং করা হলে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করবে। আবার বেবিচকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। রাশিদাকে ঢাকায় এনে সদর দপ্তরে পোস্টিং করা হলে আবারও তাকে লান্ঞিতকরণের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করছেন।
বেবিচকে শুধু রাশিদা নন- আরো আওয়ামী দোসররা এখন বহাল তবিয়তে। তাদেরকে বদলি করা হচ্ছে না, প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। আওয়ামীলীগ নেতা শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর পিএস বেবিচকের সহকারি পরিচালক প্রশাসন তিরান হোসেন এখনও বেবিচকে বহাল। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আপন ভাগিনা সেমসুর নির্বাাহী পরিচালক রেজাউল করিম এখনও সেমসুতে বহাল। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নির্বিকার। বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেবার নেতৃত্ব দেয়া উপসচিব , বেবিচক পরিচালক সম্পত্তি ইসরাত জাহান পান্নাকে ওএসডি করার পরও পান্নার মতো আওয়ামী দোসররা বেবিচকে জেকে বসেছে। ডিবি হারুনের ভগ্নিপতি রিয়াদুল ইসলাম মাসুদকে যশোহর বিমানবন্দর থেকে বদলির পর কর্মচারীরা তাকে কালো পতাকা প্রদর্শন করে বিদায় করেছে, মিষ্টি বিতরণ করেছে। আরেক আওয়ামী দোসরকে আবার যশোহর এয়ারপোর্টের ম্যানেজার করা হয়েছে। গোপালগনজের বধূ দিলারা পারভীনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ করার পরও এখনও রাজশাহি বিমানবন্দরের ম্যানেজার পদে বহাল রাখা হয়েছে, তাকে রহস্যজনক কারণে বদলি করা হচ্ছে না বলে অনেকে জানান।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)