একুশে বার্তা রিপোর্ট : বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রকৌশল বিভাগের দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিভিল হাবিবুর রহমান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম মো. জাকারিয়া হোসেন । বেবিচক চেয়ারম্যান বলেছেন, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এদের পদোন্নতি হবে না।
এদের পদোন্নতিতে আপত্তি জানিয়েছে দুদক। দুদক কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আপত্তি জানানো হয়। এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বেবিচকের ১৪ প্রকৌশলীর বিষয়ে দুদকে তথ্য চাওয়া হয়। গত ২৪ অক্টোবর চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, জাকারিয়া হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে সিলেট বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। নতুন পিডি করা হয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী মওদুদকে। বর্তমান পিডির তত্বাবধানে উন্নয়ন কাজ চলছে। বেবিচক চেয়াম্যানও সিলেট বিমানবন্দর পরিদর্শন করে উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র দেখেছেন এবং দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন।
প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ছাত্রজীবনে ‘ছাত্রদলের’ সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার আত্মীয়স্বজন জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত। পতিত সরকারের আমলে বিমান সচিব মহিবুল হকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপরও তাকে তার মাদার ডিপার্টমেন্ট থেকে আউট করে এফএসআরে বদলি করা হয়। তিনি একজন নায়কের সাথে বিমানবন্দরে লাউন্ঞ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে শোনা যায়। তিনি চীফ ইনজিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখছেন, কিন্ত বিধি বাম, দুদকে অভিযোগ তদন্তাধীন, তার ডিপিসি হবে না। তাই তিনি এ যাত্রায় চীফ ইনজিনিয়ার হতে পারছেন না। আগামি বছর প্রথম দিকে তিনি পিআরএলএ চলে যাবেন বলে জানা যায়। তাই তার চীফ ইনজিনিয়ার হবার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। আর বেবিচক ঠিকাদাররাও তাকে লাইক করে না।