স্টাফ রিপোর্টার : বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে। এয়ার ভাইস মার্শাল মনজুর কবীর ভুইয়াকে বিমান বাহিনী থেকে প্রেষণে বেবিচকের নয়া চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।গত ৮ আগস্ট এ সংক্রান্ত প্রঙাপন জারি করা হয়েছে।আগামী ১৮ আগস্ট এ বদলির আদেশ কার্যকর করার জন্য প্রঙাপনে বলা হয়েছে।
এ দিকে পতিত সরকারের আমলে প্রেষণে বেবিচকে আসা সরকারের যুগ্ম সচিব/অতিরিক্ত সচিব মেম্বার এডমিন, মেম্বার অর্থ, পরিচালক এডমিন এবং বিমান বাহিনী থেকে প্রেষণে আসা মেম্বার অপস, মেম্বার সিকিউরিটি এখনও বহাল, তাদেরকে এখনও বদলি করা হয়নি। এরা গত সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক বলে বেবিচকে চাউড় হয়ে গেছে।
এরমধ্যে একজন প্রশাসনিক আমলা যিনি গত সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক, তার বাড়ি নাটোরে, তার পূর্বপুরুষ ভারতের হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের নাটোরে। তিনি ভোল পাল্টে বিএনপির ঘরানার কর্মকর্তাদের সাথে লিয়াজো করছেন বলে শোনা যায়। বেবিচকে কর্মরত ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছেন, তাকে প্রাইজ পোস্টিং দেয়ার পায়তারা করছেন।জনস্বার্থে বেবিচক থেকে তাকে সরানো দরকার, বেবিচক ঢেলে সাজানো দরকার বলে অনেকে মনে করেন। কারণ তিনি বেবিচক প্রশাসনের কি পয়েন্টে বসে আছেন।
অন্যদিকে বেবিচকে সৃষ্ট পরিচালক মানব সম্পদ পদে আগের চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে জেকে বসা যার বিরুদ্ধে অডিট আপত্তির জনশ্রুতি রয়েছে বিতর্কিত, আওয়ামী ঘরানার লোক, যার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট হয়েছিল , কিন্ত ফাইল থেকে সেই গোয়েন্দা রিপোর্ট গায়েব করে দেয়ার কথাও শোনা যায়-সেই নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। অন্তর্বর্তী সরকার কি এই আওয়ামী ঘরানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন? এই নূরুল ইসলামের কথিত ভাগিনা হাকিম দুই দুইবার শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ন পাচার করার সময় ধরা পড়লেও মামার তদবিরে ভাগিনা এখনও বহাল।তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি, নিয়োগ কেলেংকারির কথাও বেবিচকে ভেসে বেড়ায়।তার অত্যাচারে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অতিষ্ঠ- অসহায়। চাকরিচ্যুতির ভয়ে কেউ মুখ খুলে বলতেও পারে না।
রাশিদা সুলতানা : বেবিচকের ত্রাস বলে খ্যাত, গত সরকারের আমলে বয়স মার্জনায় কোটায় ‘নিরাপত্তা অফিসার’ পদে চাকরি পাওয়া পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বোন পরিচয়ধারি রাশিদা সুলতানা এখনও বহাল। তার বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ আমলে নেয় না বেবিচক কর্তৃপক্ষ। শেখ হাসিনার বোন পরিচয়ে বেবিচকে ধরাকে সরা ঙঞান করে থাকেন। রাশিদা সুলতানা অনেককে ফাসিয়ে দেন। কোটা আন্দোলনের সময়ও এক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীকে ফাসিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)