বেবিচক : থার্ড টার্মিনালের পিডি নিয়োগ দিলেন প্রধান প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার : তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম মো. জাকারিয়া হোসেনকে শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নতুন প্রজেক্ট ডাইরেক্টর- পিডি নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান। এর আগে তিনি ( জাকারিয়া) ডিপিডির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত ৩১ ডিসেম্বর/২৪ প্রধান প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত এক নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। যার স্মারকনং-৩০.৩১.০০০০.৪০১.১১.০০১.২১/২৪৯০ তারিখ: ৩১.১২.২০২৪। সাবজেক্টে বলা হয়েছে,‘ এ্যাপয়েনমেন্ট অব এক্টিং প্রজেক্ট ডাইরেক্টর’। বেবিচকের রেফারেন্সে নম্বর-৩০.৩১.০০০০.২০১.৫৩.০০.৩.১৭.১২৯৩ তারিখ-২২.১২.২০২৪।
জানা যায়, এ ব্যাপারে বেবিচকের প্রশাসন থেকে কোন প্রঙাপন করা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকেও কোন প্রঙাপন জারি করা হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ে প্রকৌশলী জাকারিয়াকে থার্ড টার্মিনালের পিডি করার প্রস্তাব করে দাপ্তরিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাতিল, পোস্টিং, পদায়ন নিয়ে ব্যস্ত বেবিচক: বেবিচকের ২ সদস্য, পরিচালক প্লানিং, প্রধান প্রকৌশলী বাতিল, পোস্টিং, পদায়ন নিয়ে ব্যস্ত। ঠিকাদারি কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ভয়ে ভয়ে কোন প্রকৗশলীর দপ্তর থেকে ইস্টিমেট ছাড়া হচ্ছে না,ছাড়লেই নাকি তা বাতিলের খপ্পড়ে পড়ছে। এ দিকে বদলি নিয়ে ব্যস্ত প্রধান প্রকৌশী প্রশাসন, ২০ দিনে নাকি ৩ বার করে বদলির অর্ডার জারি করা হয়েছে। ফলে বেবিচকের ঠিকাদারি কাজ ভেস্তে যাচ্ছে, উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না, মেইটেনেন্স কাজও স্থবিরতায়। কিছু কিছু ইস্টিমেট ছাড়করণ করা হলেও তা প্রধান প্রকৌশীর পাসের রুমে বসা প্রকৌশলী মিহির চাদ দে আটকে দিচ্ছে, ঘুষ ছাড়া তার রুম থেকে ফাইল নড়েচড়ে না, তিনি পিআরএল-এ যাবার আগে আখেরি খাবার খেয়ে নিচ্ছেন বলে ঠিকাদার জানান। তিনি দুদকের মামলার এফআইআর-চার্জশীটভুক্ত জেলখাটা আসামি। মামলার শেষ বিচার না হওয়া পর্যন্ত চাকরি ফিরে পাবার আইনগত জটিলতা আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে অনেকে মনে করেন। তিনি পিআরএল-এ পেনশন নিয়ে যেতে পারবেন? যদিও একই মামলায় অভিযুক্ত আসামি সহকারি প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র আবেদন করেছিলেন ৪০ ভাগ পেনশনের জন্য কিন্ত বেবিচক তাকে শতভাগ পেনশন দিয়ে পিআরএলএ পাঠিয়েছে।