বেবিচক : থার্ড টার্মিনালের অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকার বিল নিয়ে পিডি- মেম্বার অর্থ’র মধ্যে হটটক : অবশেষে নীরিক্ষা কমিটি গঠন, মন্ত্রণালয়ের নিদের্শে মেম্বার অর্থর নাম বাদ পড়লো কমিটি থেকে, স্যাংসমের পক্ষে ওকালতি!

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকে থার্ড টার্মিনালে কনটিজেন্সি বা অতিরিক্ত কাজের বিল বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত  ৩ হাজার ’ কোটি দাবি করেছে বেবিচকের কাছে। এ নিয়ে থার্ড টার্মিনালের এক্সটেনকৃত পিডি এবং বেবিচকের মেম্বার অর্থের মধ্যে হটটক হয়ছে, একপর্যায়ে হাতাহাতির পর্যায় চলে যায়। পিডি জানতে চান আপনাকে থার্ড টামিনালের দায়িত্ব দিয়েছে কে? মেম্বার অর্থ নাকি বলেন চেয়ারম্যান স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এই মেম্বার অর্থ থার্ড টার্মিনালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্যামসংয়ের পক্ষে ওকালতি করছেন বলেও জানা যায়। স্যামসংয়ের অফিসে প্রায়ই মেম্বার অর্থকে বসে থাকতে দেখা যায়। আবার মেম্বার অর্থের অফিসেও স্যামসংয়ের লোকজন বসে থাকেন বিল দ্রুত রিলিজ করানোর জন্য। এই অতিরিক্ত কাজের বিল দ্রুত ছাড় করাতে পারলে মেম্বার অর্থ তার নিদিষ্ট পারসেনটেন্স পাবেন বলে জানা যায়। তিনি প্রতিটি ঠিকাদারি কাজের অর্থ ছাড় করানোর ক্ষেত্রে শতকরা ১ ভাগ পারসেনটেন্স নিয়ে থাকেন বলে ঠিকাদাররা জানান। এই পারসেনটেন্সের টাকা আদায় করে থাকেন তার পিয়ে (প্রায় ১ যুগ বেবিচকে মেম্বার অর্থ’র পিএগিরি করা) হাফিজ।
উল্লেখ্য, থার্ড টার্মিনালে এই ৩ হাজার ’ কোটি টাকার অতিরিক্ত কাজ করা হয় সাবেক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান এবং সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেকের দায়িত্বকালীন সময়ে ।
বেবিচকের মেম্বার অর্থ এসএম লাভলুর রহমান আওয়ামী দোসর হলেও তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ এবং রাষ্ট্রপতির পিএস দিদারুল আলমের সাথে সংশ্লিষ্ট। বেবিচক কর্মচারিরা তার অপসারণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে এবং বেবিচকে ব্যানার টাংগিয়ে দিয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্ত এরপর মেম্বার অর্থ এখনও বেবিচকে বহাল। একজন পত্রিকার সম্পাদক নাকি তার বন্ধু বলে জানা যায়।