একুশে বার্তা রিপোর্ট : আবারও থার্ড টার্মিনাল পিডি নিয়োগ সংক্রান্ত সিন্ডিকেড নিউজ, একই রকম দুপত্রিকার ইনট্রো। শতকোটি টাকা ক্ষতির হেডলাইন।
ইনট্রুতে বলা হয়েছে, সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না রাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্প থার্ড টার্মিনালের। চলতি বছরের প্রথমদিকে প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাচ্ছে। কবে কাজ শেষ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টার্মিনালটির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ না হওয়ায় অন্তত ১০০ কোটি টাকার খেসারত গুনতে হচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক)। এক প্রকৌশলীকে অস্থায়ীভাবে পিডির দায়িত্ব দেওয়া হলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আসেনি। ফলে মেগা প্রকল্পটি চালু নিয়ে রয়েছে কাল বিলম্বের শঙ্কা।
এ দিকে যাকে কেন্দ্র করে এই নিউজ দাড় করানো হয়েছে- তিনি হলেন বেবিচকের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম জাকারিয়া হোসেন, অন্যজন শুভাশীষ বড়ুয়া। এই দুই প্রকৌশলীকে অবৈধ পদে পদায়ন, ভুতাপেক্ষ তারিখ থেকে পদোন্নতি—ইত্যাকার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে, বিভাগীয় তদন্ত চলছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রধান প্রকৌশলী। গোয়েন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।আর এ জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনে কাল বিলম্ব হচ্ছে।
বেবিচক সূত্র বলছে, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন না পৌঁছানোয় অস্থায়ী প্রকল্প পরিচালকের ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তার (জাকারিয়া) ও বড়ুয়ার চাকরিতে নিয়োগে অসংগতিরও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে থার্ড টার্মিনালে ‘কার্যত’ প্রকল্প পরিচালক না থাকায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নির্মাণকাজ। বিভিন্ন কাজে ব্যাংকের চেকে স্বাক্ষর করতে না পারায় বিল দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে বিল পরিশোধের জন্য বেবিচককে চিঠি দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে, গচ্চার পরিমাণ তত বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নির্মাণে কোটি কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাদ দেওয়া হয় প্রকল্প পরিচালক মাকসুদুল ইসলামকে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া হোসেনকে অস্থায়ীভাবে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বেবিচক। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি। ফলে জাকারিয়া কোনো সই করতে পারছেন না। চেক ইস্যু করা যাচ্ছে না।
থার্ড টার্মিনাল কবে চালু হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি এ বছরের শেষদিকে অক্টোবরের মধ্যে চালু করতে। ছোটখাটো জটিলতা রয়েছে, পিডি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এজন্য কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা কাজের স্পিড বাড়িয়ে বছরের শেষদিকে চালু করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো নতুন পিডি নিয়োগ দিতে পারিনি। দেড় মাস ধরে পিডি নেই। চেক ইস্যু করা যাচ্ছে না। এজন্য পিছিয়ে যাচ্ছি। জাকারিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসেনি। আশা করছি কাল-পরশুর মধ্যে চিঠি চলে আসবে।’
পিডি না থাকায় অতিরিক্ত পেমেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারেরও তো সময় বাড়ানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা আছে। আলাদা বেশি পেমেন্ট করতে হবে না। এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি, এটা ওনারা (ঠিকাদার) জানেন।’
বেবিচক সূত্র জানায়, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন না পৌঁছানোয় জাকারিয়া হোসেনের বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া জাকারিয়া হোসেনের চাকরিতে নিয়োগে অসংগতিরও অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এই অসংগতি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বেবিচকের সদস্য এটিএম এয়ার কমোডর জিয়াউল হক। দুজন সদস্য হলেন প্রধান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান ও পরিচালক অর্থ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
রাষ্ট্রপতির মঞ্জরি আদেশে ১৯৯৬ সালে বোর্ডিং ব্রিজ প্রকল্পে-প্রকল্প আছে চাকরি আছে, প্রকল্প শেষ চাকরি শেষ শর্তে মো. জাকারিয়া হোসেন ও শুভাশীস বড়ুয়াকে ‘সহকারী প্রকৌশলী ইলেকট্রনিকস’ পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই আদেশে আরও চার প্রকৌশলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন আছালত হোসেন খান—যাকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী করা হয়েছে, আয়শা, সফিকুলকে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে আর শাহিনুর আলমকে সহকারি প্রকৌশলী করা হয়েছে।
২০১০ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু এদের চাকরি ২০২৪ সালেও শেষ হয়নি, চাকরির অসংগতি দূরকরণে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। পাঁচ মন্ত্রণালয়ে কাঠখড় পুড়িয়ে এদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বেবিচক থেকে দাপ্তরিক চিঠি চালাচালি শুরু হয়। তৎকালীন সংস্থাপন, আইন ও অর্থ মন্ত্রণালয় এতে আপত্তি তোলে। পরে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এদের রাজস্ব খাতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাদের পদ পরিবর্তন করে নতুন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে পত্রিকায় কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি, প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে দ্বিতীয়বার এদের পদ পরিবর্তন করে চাকরি হলো কোন সরকারি বিধিতে? যা আগের পদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অনেকে মনে করেন। ২০১১ সালে আগের পদের সঙ্গে মিল না রেখে জাকারিয়া ও বড়ুয়াকে (আগের পদ সহকারী প্রকৌশলী ইলেকটিক্যাল) ‘সহকারী প্রকৌশলী ইএম পদে চাকরি স্থায়ী করা হয়। ১১/১২ মাসের মাথায় ‘নির্বাহী প্রকৌশলী’ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ‘১৮-০৫-২০২১’ তারিখে এদেরকে আবার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ১১/১২ মাসের মাথায় আবার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে এসই (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) হিসেবে জাকারিয়াকে ইএম ১/২-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেওয়া হয় থার্ড টার্মিনালের ডিপিডির দায়িত্ব। শুধু তাই নয়; জাকারিয়াকে প্রধান প্রকৌশলী করার জন্য ক্লিয়ারেন্স চেয়ে দুদকে দাপ্তরিক চিঠি পাঠানো হয়। আর বড়ুয়াকে ঢাকার বাইরের বিমানবন্দরগুলোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম’র দায়িত্ব দেয়া হয়। আর এ সব ক্ষেত্রে কলকাঠি নাড়েন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক।
বেবিচক বলছে, চলতি সপ্তাহে মন্ত্রণালয় থেকে পিডি নিয়োগের বিষয়ে চিঠি আসবে। পিডি নিয়োগে দেরি হলেও সমস্যা হবে না। ঠিকাদারকে বাড়তি টাকা দিতে হবে না। ঠিকাদারের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা রয়েছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। নির্মাণকাজে অর্থায়ন করছে জাইকা। ভবনটির নকশা করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি এনওসিডি-জেভি জয়েন্ট ভেঞ্চার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি। জাপানের শীর্ষ নির্মাতা কোম্পানি সিমুজি ও কোরিয়ার সেরা স্যামসাং নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) নামের প্রতিষ্ঠানটিই বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দুদেশের অন্তত ৪ শতাধিক দক্ষ জনবল সক্রিয় কাজে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। টার্মিনালে থাকবে কেবিন এক্সরে মেশিন ৪০টি, বোর্ডিং ব্রিজ ১২টি, কনভেয়ার বেল্ট ১৬টি, বডি স্ক্যানার ১১টি, টানেলসহ বহুতলবিশিষ্ট কারপার্কিং ৫৪ হাজার বর্গমিটার, নতুন ইমপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স এবং নতুন এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স ৬৩ হাজার বর্গমিটার, রেসকিউ ও ফায়ার ফাইটিং স্টেশন এবং ইকুইপমেন্ট চার হাজার বর্গমিটার, ভূমি উন্নয়ন, কানেক্টিং টেক্সিওয়ে (উত্তর) ২৪ হাজার বর্গমিটার, কানেক্টিং টেক্সিওয়ে (অন্যান্য) ৪২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার, র্যাপিড এক্সিট টেক্সিওয়ে (উত্তর) ২২ হাজার বর্গমিটার, র্যাপিড এক্সিট টেক্সিওয়ে (দক্ষিণ) ১৯ হাজার ৫০০ বর্গমিটার, সোল্ডার ৯৬ হাজার ৫০০ বর্গমিটার, জিএসই রোড ৮৩ হাজার ৮০০ বর্গমিটার, সার্ভিস রোড ৩৩ হাজার বর্গমিটার, ড্রেনেজ ওয়ার্কস (বক্স কালভার্ট ও প্রোটেকটিভ ওয়ার্কস), বাউন্ডারি ওয়াল, সিকিউরিটি গেট, গার্ডরুম ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, ল্যান্ড সাইড, সার্ভিস রোডসহ এলিভেটেড রোড, ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্যান্ট, ইনটেক পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কার্গো কমপ্লেক্সের জন্য সিকিউরিটি ও টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম ও হাইড্রেন্ট ফুয়েল সিস্টেম থাকছে। টার্মিনালের অন্যতম আকর্ষণ ফানেল টানেল। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারে ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখার অ্যাপ্রোন ও ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি রাখার সুবিধা, ৬৩ হাজার বর্গফুট জায়গায় আমদানি-রপ্তানি কার্গো কমপ্লেক্স, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিমানবন্দরের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।
নাম প্রকাশ না করে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, থার্ড টার্মিনালকে সামনে রেখে ১২টি নতুন এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আবেদন করেছে। খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হচ্ছে পুরো টার্মিনাল। সিলিংয়ে সোনালি, সাদা, আকাশি রঙের চোখ ধাঁধানো কারুকাজ। মেঝেতে লাগানো হচ্ছে বাহারি টাইলস। বাইরে দেওয়া হয়েছে শাপলা ফুল। টার্মিনালের জন্য বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বাকি ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাইকা। এরই মধ্যে টাকা ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। পরে ওই অর্থের জোগান দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। এতে বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে ২৪ মিলিয়ন (পুরনো টার্মিনালসহ), যা এখন আট মিলিয়ন এবং বিমানবন্দরটি প্রতিবছর পাঁচ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডেল করতে পারে। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) ও একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এ ছাড়া আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে যাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।এতো সুন্দর করে সাজানো – এই সাজানো বাগানে পার্কিং ব্যবস্থা নেই। বেচিক বলছে, পার্কিং জায়গা নেই।