বেবিচক : পুলিশ-আনসার- সেনাতে লেডি কমান্ডোরা ইউনিফর্ম পরলেও বেবিচকের লেডি কমান্ডোরা ধরা-ছোয়ার বাইরে, ওরা ইউনিফর্ম পরছে না

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক এভসেকের নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য নিদিষ্ট ইউনিফর্ম (পোশাক) তৈরি ও পরিহিত অবস্থায় এর উদ্ধোধন করে ফটোসেশন করে প্রচার করলেও বেবিচকের লেডি কমান্ডোরা এই ইউনিফর্ম পরতে নারাজ। এরা এক উর্ধতন কর্মকর্তার দোহাই দিয়ে তাদের জন্য নির্ধারিত ইউনিফর্ম না পরে ডিউটি করছে বলে পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা জানান।
বেবিচকের এই লেডি কমান্ডোরা ইতিমধ্যেই ইউনিফর্ম না পরতে বেবিচক কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন। প্রিয়াংকা, স্মৃতি, টুম্পা কুন্ড এ আবেদনে ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা যায়। আবেদনটি কর্তৃপক্ষের আমলে নেয়ার অপেক্ষায় আছে।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরে এভসেকে কর্মরত বেবিচকের নিরাপত্তারক্ষীদের উিউটিকালিন সময়ে নিদিষ্ট পোশাক চিহ্নিত তা তৈরি করে গত ২ জুলাই এর উদ্ধোধন করেছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মনজুর কবীর ভুইয়া। গণমাধ্যমে তা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। উদ্ধোধনী দিনে ওই নিদিষ্ট পোশাক পরে চেয়ারম্যানের সাথে ফটোসেশনও করা হয়েছে। বেবিচকের জনসংযোগ বিভাগ তা প্রচার করেছে।
ইতিমধ্যেই এভসেকের পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীরা ইউনিফর্ম পরে উিটি করছেন। কিন্ত মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা এর ব্যতিক্রম। এরা ওই পেশাক না পরে সিভিল পোশাক পরে ডিউটি করছেন। এ দৃশ্য শাহজালাল বিমানবন্দরে সবার নজর কেড়েছে। কিন্ত বেবিচক কর্তৃপক্ষ
কড়াকড়ি এ্যাকশনে যাচ্ছে না। তাহলে বেবিচকের মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা কি ধরাছোয়ার বাইরে?
পুলিশ-আনসার -সেনা বাহিনীতে কর্মরত মহিলারা তাদের নিদিষ্ট ইউনিফর্ম পরে ডিউটি করলেও বেবিচকের মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা কি এর ব্যতিক্রম?
জানা যায়, জনপ্রতি এই পোশাক তৈরিতে খরচা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা করে। বেবিচকে প্রায় ১৫০০শ’ নিরাপত্তারক্ষীর পোশাকে খরচা পড়েছে সবমিলে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এতো বিশাল অর্থ ব্যয় করে নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ইউনিফর্ম তৈরি করা হলেও মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা কেন এ পোশাক পরে ডিউটি করছে না। তাহলে সরকারের এতো বড় বিশাল অর্থ ব্যয় করা হলো কেন?