বেবিচক : প্রকৌশলী ভবেশ শতভাগ পেলেও রমিজ পাননি : পাঁচ বছরেও পুনঃস্থাপন হয়নি শতাধিক কর্মচারীর পেনশন, ৩ কর্মচারির মৃত্যু

একুশে বার্তা ডেক্স : শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাদের মাসিক পেনশন
পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রায় ছয় বছর পরও তা বাস্তবায়ন করেনি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অন্যদিকে সহকারি প্রকৌশলী ইএম দুর্নীতি মামলার আসামি হওয়া সত্বেও শতভাগ পেনশন নিয়ে বেবিচক ছেড়েছেন।কিন্ত রমিজ উদ্দিন বনিা্ঞত।

২০১৮ সালে পেনশন পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে বলা হয়েছে, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১৫ বছর অতিক্রান্তের পর তাদের পেনশন পুনঃস্থাপন করা হবে। তবে এ সুবিধা পাচ্ছেন না বেবিচকের ১১০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কমচারী।

বেবিচকের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন ২০০১ সালের অক্টোবরে অবসরে যান। তিনি এখনও এ সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, কর্মচারীর এলপিআর অথবা পিআরএল যে তারিখে শেষ হয়েছে, তার পরদিন থেকে ওই ১৫ বছর সময় গণনা করা হবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যে পদ্ধতি ও নিয়মে নিয়মিত পেনশনারদের মাসিক পেনশন নির্ধারিত হয়, একইভাবে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মাসিক পেনশন নির্ধারিত হবে।

রমিজ উদ্দিন জানান, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য এ সুবিধা সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পেলেও এখনও মেলেনি বেবিচকের কর্মীদের ভাগ্যে।  তাদের অভিযোগ, বেবিচকের কতিপয় কর্মকর্তার অবহেলার কারণে তারা এ সুবিধা পাচ্ছেন না।

বেবিচকের অবসরপ্রাপ্ত আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়  ও বেবিচকের মধ্যে একাধিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয়নি। হতাশা নিয়েই বেবিচকের সুবিধাবঞ্চিত ১১০ জনের মধ্যে তিনজন ইন্তেকাল করেছেন। অন্যরাও মনে কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।