বেবিচক প্রকৌশল বিভাগ : ২০২১ সালের প্রবিধান কি ১৯৮৫ সালের প্রবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক: পূর্বের প্রবিধানে যাদের চাকরি নতুন প্রবিধানে তাাদের পদোন্নতি আটকে দেয়া হচ্ছে : ৩ জনকে পুরনো প্রবিধানে পদোন্নতি প্রশ্নবিদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকে প্রকৌশল বিভাগে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২০২১ সালের জারিকৃত প্রবিধান ১৯৮৫ সালের প্রবিধানের অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছেন। পূর্বের প্রবিধানে যাদের চাকরি নতুন প্রবিধানে তাদের পদোন্নতি আটকে দেয়া হয়েছে।আবার পুরনো প্রবিধানের আলোকে ৩ জনকে পদোন্নতি দিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী করা হয়েছে। অন্যদের পদোন্নতি আটকে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৫ সালের পুরনো প্রবিধানে ৩ জনকে পদোন্নতি দিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী করা হয়েছে, ২জনকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে। ১ জনকে গত ২১ নভেম্বর পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তখন তাদের গ্রেডের দোহাই দিয়ে পদোন্নতি আটকে দেয়া হয়নি। এরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত হয়েছেন। ওই সময় বেবিচকে প্রেষণে আসা মেম্বার এডমিন গ্রেড নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নি। কিন্ত বর্তমান মেম্বার এডমিন গ্রেড নিয়ে প্রশ্ন তুলে অন্যদের পদোন্নতি আটকে দিয়েছেন। এদের ডিপিসি হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বেবিচক চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করছেন না। ফলে গত ১৫ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার নির্বাহী প্রকৌশলীরা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি না পেয়ে আরো বৈষম্যের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। প্রশ্ন ওঠেছে, ওরা কি নির্বাহী প্রকৌশলী পদ থেকেই এলপিআরে যাবেন। ওদের কি আর পদোন্নতি হবে না।
বেবিচক সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুরনো প্রবিধানমালায় নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরতদের গ্রেড- ৬ থেকে গ্রেড-৪-এ পদোন্নতি দেয়ার বিধান। এ বিধানে কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী পদোন্নতি পেয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হয়েছেন এবং পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলী হয়ে অবসরেও গেছেন। একজন গত ২১ নভেম্বর প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদেরকে কিন্ত গ্রেড-৬ থেকে গ্রেড-৪-এ পরে গ্রেড-৩-এ পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে কেন গ্রেড-৫ থেকে গ্রেড্র-৪-এর দোহাই দেয়া হচ্ছে।
২০২১ সালের প্রবিধানমালায় নির্বাহী প্রকৌশলীদের গ্রেড-৫ থেকে গ্রেড-৪-এ ওঠার বিধান করে তত্বাবধায়ক প্রকৌশী পদে পদোন্নতি দেয়ার বিধান করা হয়েছে।
বেবিচকে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরত অনেকেই পুরনো প্রবিধানে গ্রেড-৬-এ। গ্রেড-৬ থেকে গ্রেড-৪-এ ওঠা যাবে না- ডিপিসি বৈঠকের এমন সিদ্ধান্তে নির্বার্হী প্রকৌশলীরা কেউ কেউ ১৫ বছর ধরে একই পদে চাকরি করার পরও বৈষম্যহীন সরকারের আমলে তাদের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি আটকে দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বৈষম্য আরো বাড়িয়ে তুলা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে জোরালো ভুমিকা রাখছেন বেবিচকে আওয়ামী দোসর বলে অভিহিত, সরকারের একজন যুগ্ম সচিব- যিনি বেবিচকে মেম্বার এডমিন পদে কর্মরত। গত ডিপিসি বৈঠকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ডিপিসি কমিটির সভাপতি ও মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি আপত্তি তুলেননি বলে জানা যায়।
গ্রেড-৬ থেকে গ্রেড-৪-এ যাদের পদোন্নতি দিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী করা হয়েছে তারা হলেন: মো. জাকারিয়া হোসেন ইএম, সুভাশীষ বড়–য়া, ইএম, আব্দুল মালেক, ইএম, শহিদুল আফরোজ সিভিল। এদের মধ্যে ২জন প্রধান প্রকৌশলী হয়েছেন, একজন অবশ্য রুটিন দায়িত্ব পালন করেছেন।