বেবিচক : শাহজালালের স্টোরে এরা কারা চাকরি করছেন!

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকে শাহজালাল বিমানবন্দরের স্টোরে পতিত সরকারের লোকজন বসে দিব্যি চাকরি করছেন। তাদেরকে বেবিচক প্রশাসন আগলে রেখেছে, তারা এ সব অপকর্ম ঠেকানোর জন্য বিএনপি বনে যাচ্ছে, নামধারি নেতা, আসলে অনেকে বলে বেড়ান সুবিধাবাদী, আওয়ামী নেতা-কর্মীদের সাথে এদের ফটোসেশন রয়েছে, সাবেক বিমানমন্ত্রীর সাথেও যার ফটোসেশন রয়েছে- এরা কেউ কেউ নিরাপত্তা বিভাগের।৩০ অক্টোবরের বৈষম্য বিরোধী কর্মচারি সমাবেশে ওই বিএনপি নামধারিদের দেখা যায়নি। বৈষম্য বিরোধী কর্মচারিরা অভিযোগ করেন বিভিন্ন প্রোগামের নামে তারা চাদাবাজি করে থাকেন। তাই আউট করা হয়েছে। ওই সমাবেশ সম্পর্কে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চেয়ে সদুত্তোর পায়নি। এরা মামলা পরিচালনার কথা বলেও ঢাকা ও বাইরের স্টেশন থেকে চাদা আদায় করা হয়ে থাকে বলে কর্মচারিরা বলে বেড়ান। এতে করে এরা বহু বিত্তবৈভবের মালিক নাকি বনে গেছেন। উত্তরায় নিজস্ব ফ্লাট, কাওলায় ফ্লাট নির্মাণ চলছে বলেও কর্মচারিরা বলে বেড়ান। এদেরকে বেবিচক কর্তৃপক্ষ বার বার ঢাকার বাইরে বদলি করলেও তদবির করে আবার ঢাকায় ফিরে আসেন।
এরা দীর্ঘদিন ধরে শাহজালালের স্টোরে বসে আছেন। অন্যত্র বদলি করা হয় না। বরং উল্টো আওয়ামী আমলে এক কর্মীকে শাহজালাল স্টোর থেকে বদলি করিয়ে ছাড়েন। তিনি এখন সিএনএস স্টোরে কর্মরত। ওই স্টোরে নুপুর নামে এক সংখ্যালঘু মহিলা কর্মচারিকেও আউট করার পায়তারা হচ্ছে বলে জানা যায়। নুপুরকে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠেছে। যখনই নতুন চেয়ারম্যান বেবিচকে আসেন ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া হয়, তবে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্টের শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি মাইন্টেট এক কর্মচারিকে প্রধান বক্তা করায় , এ যেন আওয়ামীলীগের শোক দিবসে প্রধান বক্তা বিএনপির লোক।