বেবিচক : সোহেল কামরুজ্জামান ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে, বদলি আইওয়াশ মাত্র: ডাইরেক্টর মানব সম্পদ, ডিডি সেমসু প্রকিউরমেন্ট দেড়যুগ ধরে একই পোস্টিংয়ে

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচক ৪ চেয়ারম্যানের আমল ধরে পিএসগিরি করার পর অবশেষে সোহেল কামরুজ্জামানকে চেয়ারম্যানের দপ্তরের সংযুক্তি বাতিল করে যে জায়গায় পোস্টিং ছিল -সেই এফএসএন্ডআরে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ যেন ঘরের ছেলে দীর্ঘদিন পর ঘরে ফিরে এসেছে। তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়নি। তার এ বদলি যেন আইওয়াশ মাত্র। সদর দপ্তরে শুধু এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট বেবিচকের এক দাপ্তরিক চিঠিতে উপপরিচালক সোহেল কামরুজ্জামান এবং সহকারি পরিচালক নিজাম উদ্দিনকে স্ব স্ব দপ্তরে বহাল রেখে সোহেল কামরুজ্জামানকে চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে ‘সংযুক্তি’ বাতিল করা হয়েছে এবং সহকারি পরিচালক নিজাম উদ্দিনকে চেয়ারম্যানের দপ্তরে পিএস হিসেবে সংযুক্তি করা হয়েছে।। উক্ত দাপ্তরিক চিঠিতে সই করেন সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) মো: তিরান হোসেন।
সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) মো: নিজাম উদ্দিনের বর্তমান কর্মস্থল প্রশাসন বিভাগ, সদর দপ্তর, ঢাকা ওই দপ্তরেই বদলি করে চেয়ারম্যানের দপ্তরে পিএস হিসেবে সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে।

পরিচালক নূরুল ইসলাম, ডিডি করিম মোল্লা এখনও বহাল : বেবিচকে শুরু থেকেই এডি, ডিডি (প্রশাসন), এরপর পদ সৃষ্টি করে পরিচালক মানব সম্পদ নূরুল ইসলাম প্রায় দেড়যুগ ধরে সদর দপ্তরে বহাল। মাঝেমধ্যে তাকে পরিচালক প্রশাসনের দায়িত্বও দেয়া হয়ে থাকে। ডিডি থেকে সৃষ্ট পরিচালক মানব সম্পদ পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অডিট আপত্তি ওঠলেও তা ভেস্তে গেছে। তার প্রশাসনিক এ্যাকশন ও রূঢ ব্যবহারে কর্মচারিরা অতিষ্ঠ, মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছে। তার পছন্দের লোকদের বিভিন্ন ভান্ডারে বসিয়ে সুবিধা লুটছেন, বেবিচক পরিবহন পুল সেমসু ও প্রশাসন থেকে তার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবহন সেক্টরে তেল চুরিসহ মোটর গাড়ির পার্চ কেনার নামে নয়ছয় করা হচ্ছে। এসকে-কে সদর দপ্তরের ভান্ডারে বসিয়ে কেনাকাটায় অনিয়ম করা হচ্ছে। তার কথিত ভাগিনা হাকিম দুই দুইবার স্বর্ন পাচার করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেও মামার তদবিরে বহাল , এখন সদর দপ্তরেই নাকি কর্মরত। এই পরিচালক যখন এডি-ডিডি তখন পত্রপত্রিকায় তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ফিরিস্তি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট ভেস্তে গেছে, ফাইল থেকে নাকি গায়েব হয়ে গেছে। তাকে সদর দপ্তর থেকে বদলি করা হচ্ছে না। তার পদটি কি ব্লাকবল পদ? তাকে নাকি এ পদ থেকে সরানো যাবে না- এমন কথাও বেবিচকে শোনা যায়।
এ দিকে সেমসুর প্রকিউরমেন্টে দেড়যুগ ধরে কর্মরত উপপরিচালক করিম মোল্লা এখনও সেমসুতেই বহাল। তাকে বার বার দুদক তলব করলেও ক্লিনটিচ নাকি করা হয়েছে। সম্প্রতি ট্রলি চেয়ার কেনাকাটায় বেবিচকের কয়েক কোটি ক্ষতি হলেও করিম মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমানের আমলে ডিডি করিম মোল্লা ভায়রা ভাই রানার সাথে রাজধানির অভিজাত এলাকায় আড্ডা দিতেন বলেও শোনা যায়।এ আড্ডায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রিত করা হতো বলেও শোনা যায়। এই করিম মোল্লাকে সেমসু থেকে বদলি করা হয় না।