বেবিচক : হাবিবুর রহমানই প্রধান প্রকৌশলী,আফরোজ চেয়ারম্যানের দপ্তরে সংযুক্ত : রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে জীবন থেকে কেড়ে নেয়া হয় ৫ বছর

স্টাফ রিপোর্টার : প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকেই অবশেষে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃৃপক্ষ বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে। প্রিডিপিসি বৈঠকের পর ২১ নভেম্বর ফাইনাল ডিপিসি করে তাকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে। এখনও প্রঙাপন জারি করা হয়নি। রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে তার জীবন থেকে কেড়ে নেয়া হয় ৫ বছর, কে ফিরিয়ে দেবে এ ৫ বছর?
আগামী রোববার প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসবেন বলে জানা গেছে। স্বাগতম, হাবিবুর রহমান, আপনাকে অভিনন্দন।
‘হাবিবুর রহমানই বেচিকের পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী’ শিরোনামে ২০২০ সালে ‘একুশে বার্তা’র অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্ত কর্তৃপক্ষ তখন তাকে প্রধান প্রকৌশলী করেনি। রাজনৈতিক প্রভাবে আব্দুল মালেককে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়, আবার তাকে এক্সটেনশনও করা হয়, আবার এক্সটেনশন করার প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। পরে গত ফ্রেব্রুয়ারীতে দুদকের মামলার আসামীকে রুটির দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায়/ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে রিপোর্টের ঝড় ওঠে। হাবিবুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলী করার সিদ্ধান্তে সে ঝড় থামল।
পতিত সরকারের আমলে প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে প্রকৌশল বিভাগ থেকে আউট করা হয়, তার প্রতি অবিচার করা হয়। বীজগনিতের সূত্রের মতো তার জীবনে প্লাসে মাইনাসে= মাইনাস হয়ে রইলো। তিনি কাংক্ষিত পদে যেতে পারলেও তার সহধর্মিণী ওএসডি হয়ে রইলেন। তাকেও রাজনৈতিক তকমা লাগানো হলো! এ যেন ‘বংগবন্ধু পরিষদ-ছাত্রদল’
বেবিচকে খোজখবর নিয়ে যায়, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান একজন চৌকস প্রকৌশলী, তিনি দক্ষ, প্রকৌশল কাজের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, নীতি বর্হিভুত কাজ করেন না। যদিও তার গায়ে দদুকের কালিমা লেপন করা হয়েছে, সেখান থেকে অচিরেই তিনি ‘ক্লীনটাচ’ পাবেন বলে অনেকে মনে করেন। একশ্রেণীর ঠিকাদার ও প্রকৌশলী তার প্রতি নাখোশ। তিনি প্রকৌশল বিভাগকে ঢেলে সাজাবেন বলে অনেকে আশাবাদী। আবারও সুস্বাগতম জনাব হাবিবুর রহমান।