বোল পাল্টাচ্ছে আওয়ামী দোসররা, বিএনপিতে ঘেষছে, এক বেবিচক কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টাসহ একজন আলোচিত সম্পাদকের প্রটোকল দিচ্ছে, তদবির বাণিজ্যে অতিষ্ট উপদেষ্টারা

স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনের পিরামিড সচিবালয় থেকে সারাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে আওয়ামী দোসররা এখন বোল পাল্টাচ্ছে। এরা এখন নব্য বিএনপি সাজছে । অথচ ৫ আগস্টের আগেও এরা আজান দিয়ে আওয়ামী দোসরগিরি করেছে। ওরা কেউ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লোক, কেউ রাষ্ট্রপতির লোক , কেউ ওবায়দুল কাদেরের লোক, কেউ পাপনের লোক, কেউ আবার দরবেশ বাবার লোক, আবার কেউ ব্যারিস্টার তাপসের লোক। বিমানের ক্রুরাও আওয়ামী দোসর, এদের এখনও বিমান থেকে নামানো হয়নি, এরাই এখন প্রধান উপদেষ্টার বিমানে ক্রুগিরি করছে।
এ দিকে প্রতিদিন তদবির বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে উপদেষ্টারা। সচিবালয়ে প্রতিদিন তদবির বানিজ্য’র লোকজন ভিড় করছে। সচিবালয়ে প্রবেশ পাস বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন ফাকফোকড়ে সংশ্লিষ্টদের ফোনে ওরা সচিবালয়ে ঢুকে পড়ছে। এ নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকেও আওয়ামী দোসররা এখন নব্য বিএনপি সাজছে, এদের মধ্যে কারো কারো বউও আজান দিয়ে মহিলা আওয়ামীলীগ করতো, আওয়ামী নেতা- এমপির সাথে সংশ্লিষ্ট ওই বেবিচক কর্মকর্তার ও তার বউয়ের ফটোসেশনও রয়েছে। আর ওই বেবিচক কর্মকতাও আওয়ামী এমপি-নেতা পরিবেস্টিত একটি ক্লাবে ফটোসেশনে ভুড়িভোজ অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে।
ওরা আগে আওয়ামী হেভিওয়েট নেতাদের শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রটোকল দিতো, ওদের প্রটোকল থেকে দরবেশ বাবা, ওবায়দুল কাদের, তাপস-পরশ, পাপন বাদ যাননি।।
এখন বোল পাল্টে বেবিচক কর্মকর্তারা কেউ কেউ প্রধান উপদেষ্টা , একজন আলোচিত সম্পাদক তুরস্ক থেকে বিমানবন্দরে নামার পর পিএকে বিমানবন্দরে পাঠিয়ে তার প্রটোকল করিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এদের মধ্যে আলোচনায় এসেছেন বেবিচকের মেম্বার অথ’র নাম। প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান করার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে এলে তার প্রটোকলে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ফিরতি ফ্লাইটেও তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রটোকল করবেন বলে জানা যায়।
ওই কর্মকর্তা একজন অলোচিত সম্পাদক, যার বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের আমলে সারাদেশে ১২৪ মামলা দায়ের করা হয়, সেই সম্পাদক গত শুক্রবার তরস্ক থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তার পিএকে হাফিজকে বিমানবন্দরে পাঠিয়ে তার ( ওই সম্পাদক) প্রটোকল করিয়েছেন বলেও জানা যায়।
এই আলোচিত বেবিচক কর্মকর্তা,সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব ( এ পদে তিনি এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পদোন্নতি পান) বেবিচকে মেম্বার অর্থ এসএম লাভলুর রহমান। তাকে শতকরা ১ ভাগ ঘুষ না দিলে ঠিকাদারি কাজের অর্থ ছাড়করন ফাইলে সই করেন না বলে ঠিকাদাররা জানান। তিনি আওয়ামী দোসর, ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ট, রাষ্ট্রপতির পিএস দিদারুল আলমের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়।
বেবিচক কর্মচারীরা তাকে বেবিচক থেকে প্রত্যাহারের জন্য ব্যানার টাংগিয়ে দেয়াসহ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করলেও তা ভেস্তে গেছে।
এ নিয়ে গত ২৫ আগস্ট দেশ রূপান্তরে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করলেও প্রশাসন নীরব।