মশিকুরকে কানাডার টরেন্টো থেকে প্রত্যাহার, শামীমা- শাহজাহান দম্পতির কুয়েতে বসে আছেন শাহজাহান, শামীমা শাহজালালে: ইউসুফ সৌদিতে: আমিনুলকে সুপারসিড করে কানাডায় পোস্টিং

শাহজাহানের মুখে জন্মদিনের কেক তুলে দেয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : বিমানের জুনিয়র গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার ইউসুফকে সৌদিতে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। আর এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার শামীমা-শাহজাহান দম্পতির কর্নধার এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার শাহজাহান এখনও কুয়েতে বহাল, শামীমা শাহজালাল বিমানবন্দরে।

শামীমা পারভীন

এ দিকে শাহজাহানকে আরো প্রাইজ পোস্টিং দিয়ে কুয়েত থেকে কানাডার টরেন্টোতে পদায়নের পায়তারা করা হচ্ছে।
এ দিকে বিমান শ্রমিক লীগ নেতা মশিকুরকে কানাডার টরেন্টো থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কানাডার টরেন্টোতে আমিনুলকে সুপারসিড করে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কলকাঠি নেড়েছেন বিমানের এমডি এবং একজন প্রভাবশালী পরিচালক, যিনি দুর্নীতির দায়ে ইতিপূর্বে চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

বিমানের ইউসুফ

এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম কখনও প্যাসেন্ঞার সার্ভিসে চাকরি করেননি, তিনি দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন বিমানের ফরেন ক্যারিয়ারের বিলিং সেকশনে। মাত্র ৬ মাস আগে তাকে প্যাজেন্ঞার সার্ভিসে পদায়ন করে কানাডায় পাঠানো হয়। এ ক্ষেতে কমপক্ষে ১০ জন সিনিয়রকে বন্ঞিত করা হয়েছে, যারা অভিঙ ও দক্ষ।
এ নিয়ে ১৩ অক্টোবর ‘রূপালী বাংলাদেশে‘ বিমানের ট্রাফিক বিভাগ/ শাহজাহান-শামীমা,ইউসুফকে রিয়াদে ও কানাডায় পদায়নের পায়তারা, মানব পাচারকারী হিসেবে ইউসুফ জেল খেটেছেন ৪ বছর’ শিরোনামে এবং একুশে বার্তার অরলাইনে সংস্করণে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বিমানে তোলপাড় শুরু হয়েছে, কেউ কেউ অপপ্রচার করছে ইউসুফকে মন্ত্রণালয়ে পোস্টিং করা হয়েছে। কিন্ত মন্ত্রণালয়ে বিমানের জুনিয়র ট্রাফিক গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসারের কোন পোস্ট নেই। প্রকাশিত রিপোর্টটি প্রেসে যাবার আগেই ইউসুফকে লোভনীয় পোস্ট সৌদিতে পোস্টিং করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে ইউসুফের ০১৭৯৯৩৩৭৭১১ নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও লাইন কেটে দেয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিমান শ্রমিক লীগ করার কারণে মশিকুরকে কানাডার টরেন্টো থেকে প্রত্যাহার করা হলেও শাহজাহান কুয়েতে বহাল কোন খুটির জোরে? শাহজাহান আওয়ামী দোসর হয়েও এখনও কুয়েত পোস্টিংয়ে বসে আছেন, সেখান থেকে জাম্পিং করে আবার কানাডায় পোস্টিং নেয়ার পায়তারা করছেন। শাহজাহান-শামীমা দম্পতি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মাহবুব-আরা গিনির ঘনিষ্ঠ। শামীমা সরকার পতনের পর আওয়ামী দোসরদের শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে সহায়তা করেছেন- গোয়েন্দা সংস্থা তা খতিয়ে দেখছে। শামীমা- শাহজাহান দম্পতির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগও রয়েছে।