কাজী আমিনুল ইসলাম : আবারো রানীতিতে নয়া মেরুকরন শুরু হয়েছে। কয়েকদফা সিটিং- এর পর ৪ দলের সমন্বয়ে রাজনীতিতে নয়া জোট ‘ যুক্তফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছে। নেতৃত্বে আছেন বি চৌধুরি, আসম আব্দুর রব, বংগবীর কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না।গত ৪ ডিসেম্বর রাতে আসম রবের উত্তরার বাসায় এ জোটের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে এ সব নেতারা একত্র হয়ে বৈঠকে বসলে পুলিশী হামলায় তা কয়েকবার পন্ড হয়ে যায়। কিন্ত গত ৪ ডিসেম্বর উত্তরার রবের বাসায় কোন পুলিশী হামলার ঘটনা ঘটেনি। এতে নেতারা মনে করছেন রাজনীতিতে সুবাতাস বইছে।
‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে’ একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই জোটের প্রথম কাজ ঠিক করা হয়েছে বলে বি চৌধুরী জানিয়েছেন।
বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও রব ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও এনডিএফ নামে একটি জোট গঠন করেছিলেন। কিন্তু বিএনপির মতো তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করে।
এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের বছর গত কিছু দিন ধরেই নতুন জোট গড়ার তোড়জোড় করছিলেন তারা। রবের বাড়িতে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে পুলিশ বাগড়া দেওয়ার পর বি চৌধুরীর বাড়িতে বসেছিলেন তারা।
আগের বৈঠক দুটিতে কাদের সিদ্দিকী অনুপস্থিত থাকলেও রবের উত্তরার বাড়িতে সোমবার রাতের বৈঠকে ছিলেন তিনি।
সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা অবধি এই বৈঠকে বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, রব, মান্না ছাড়াও ছিলেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন জোটের আহ্বায়ক হিসেবে আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন বি চৌধুরী; সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন মান্না।
সংবাদ সম্মেলন করে জোটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম জানানো হবে।
বর্তমান সরকারের সমালোচক রব এক সময় আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী হয়ে ১৯৯৬ সালের শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী হয়েছিলেন। রবের দল জাসদের এক সময়ের নেতা মান্না পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর পদ হারান তিনি।
বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীও এক সময়ে আওয়ামী লীগ করতেন। দুই দশক আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি চৌধুরী খালেদা জিয়ার ১৯৯১ সালের সরকারে মন্ত্রী হওয়ার পর ২০০১ সালে বিএনপি সরকার আমলে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। পরে সেই পদ ছাড়তে হয়েছিল তাকে।