স্টাফ রিপোর্টার : ডা. মিলন দিবস আজ সোমবার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের গুলীতে ১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর প্রাণ হারান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসক শামসুল আলম খান মিলন। তার আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় এবং ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এরশাদের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচিতে দিনটিকে পালন করে আসছে।
এ দিকে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রাণদানকারী ডা. মিলনের ২৭তম শাহাদাৎবার্ষিকীর প্রাক্কালে তার আত্মদানের কথা স্মরণ করে গতকাল রোববার প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলীতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিহত হন। এই শোকাবহ ঘটনার স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। ডা. মিলনকে গুলি করে হত্যার পর তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় এবং অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব ডা. শামসুল আলম খান মিলনকে সচরাচর শহীদ ডা. মিলন হিসেবে অভিহিত করা হয়। তার মত্যুকে মহান আত্মত্যাগ হিসেবে গণ্য করা হয়। মৃত্যুকালে পেশায় চিকিৎসক শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া ওই সময় তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন।
ডা. মিলনের জন্ম ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। ১৯৭৩ সালে তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে শিল্পকলা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টস) বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন নটরডেম কলেজের ছাত্র হিসেবে। এরপর চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন (ব্যাচ কে-৩৪)। ১৯৮৩ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন ও ডাক্তারি পেশায় যোগ দেন।
দেশব্যাপী রাজপথ-রেলপথ অবরোধ আন্দোলন চলছিল। ঘটনার দিন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) যাচ্ছিলেন ডা. মিলন। এ সময় একই রিকশায় তার সহযাত্রী ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি এলাকা অতিক্রমকালে সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর গুলী চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যু হয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)