শাহজালালে এফসেকের রাজত্ব : অর্গানোগ্রামের বাইরে আরো ৭৮ জনকে পদায়ন : অস্তিত্বহীন মাদার ডিপারমেন্ট সিএএবি

বিশেষ সংবাদদাতা : সিএএবির অর্গানোগ্রামের বাইরে আরো ৭৮ এফসেক সদস্যকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পদায়ন করা হয়েছে। গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে ‘মাদার ডিপারমেন্ট সিভিল এভিয়েশনকে’ ! ছড়ি ঘুরাচ্ছে প্রেষণে আসা প্রভাবশালী উর্ধতন কর্মকর্তা। ইতিপূর্বে ৩িন মাসের জন্য উড়ে এসে জুড়ে বসা ২৫০ জনের সাথে তারই নেক ইশারায় আরো ৭৮ জন এফসেক সদস্যকে পদায়ন করা হয়েছে। যাত্রী ডিসটেন্সের কথা বলে এই ৭৮ জনকে বিভিন্ন বাহিনী থেকে আনা হয়েছে। গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে ‘মাদার ডিপারমেন্ট সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা’ বিভাগকে। আগেই সিভিল এভিয়েশনের (উচ্চ আদালতের আদেশে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা- যে কর্মকর্তাকে আগে সেনা বাহিনীর একজন মেজর দ্বারা পদায়ন করা হতো) সিএসও বা প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব খর্ব করে অস্তিত্বহীন রাখা হয়েছে। ডিএসও/ নিরাপত্তা সুপারদের এফসেকের মাধ্যমে গঠিত এএসএম-১-৭-এর অধীনে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা বিভাগের রোস্টারও করছে এফসেক বাহিনীর লোকজনরা। এফসেক -৫, ১০, ১১, ১২ , ১৩ , ১৫ , ২৩ কলসাইন তৈরি করা হয়েছে। সিএএবির নিরাপত্তা বিভাগের কলসাইন গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে। ফলে সমন্বয়হীনতার অভাবে শাহজালাল বিমানবন্দরের টোটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেংগে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন ওঠে এসেছে। মাঝেমধ্যে এফসেক কোন কোন সদস্যদেরকে অনৈতিক কাজের জন্য বিমানবন্দর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এফসেক পরিচালক (নিরাত্তা) নূরে আলম সিদ্দিকীকে বদলির পরও বেশ কিছুদিন ধরে রাখা হয়েছে, পরে তাকে শাহজালাল থেকে বিদায় করা হয়েছে। তার নিরাপত্তার আমলেই বিমানবন্দরের ভিভিআইপি গেটে সংরক্ষিত “ভিভিআইপি নামাঙ্কিত সাইনবোর্ড চুরি হয়ে যায়। পরে তা আবার নতুন করে সংযোজন করা হয়। বিমানবন্দর দিয়ে ভয়াবহ মানব পাচারের ঘটনায় দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। ‘এমপি পাপলু সিন্ডিকেড’ শাহজালাল বিমানবন্দর ব্যবহার করে মানব পাচারে সক্রিয়তার চিত্র ভেসে ওঠেছে। সরকারের হাইকমান্ডকে বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি পাপলুর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বল গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ওঠে এসেছে।
মাদার ডিপারমেন্ট সিএএবির নিরাপত্তা বিভাগকে অস্তিত্বহীন রাখার ফলেই এসব ঘটনা ঘটছে বলে অভিঙমহল মনে করছেন। এর ফলে সিএএবির নিরাপত্তা কর্মীরাও ফুসে ওঠছে, তারা প্রশাসনের কি-পয়েন্টে চাকরিচ্যুতির ভয়ে বেনামে দাপ্তরিক চিঠিপত্র চালাচালি করছে। চলবে