স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল র. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মাশিয়াল সিন্ডিকেড সদস্যরা বহাল। এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এরা হলো বেবিচকের শাহজালালে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী ‘এ’ শিফটের বাশার, ‘বি’ শিফটের শফিক,রশিদ, ‘এ’ শিফটের মনসুর, রাশিদুল। এরা চায়নাসহ বিভিন্ন ফ্লাইটে কর্মাশিয়াল ব্যবসায়ীদের পণ্যসহ মানব পাচারে সহায়তা করে কর্মাশিয়াল ল্যাগেজ প্রতি হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এরা কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে মোবাইলের মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, আমদানি নিষিদ্ধ ওষধ পাচার করে দিচ্ছে। কর্মশিয়াল ব্যবসায়ীদের সাথে এদের গোপন কন্ট্রাক্ট্রে থাকে । এ্রমধ্যে ‘এ’ শিফটের শফিক ও রশিদ এক কর্মাশিয়াল যাত্রীর ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মেরে দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ‘বি’ শিফটের মনসুর ও রাশিদুল ১ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার পর মনসুরের ‘ডি’ পাস সিস করা হয়েছে, লুজনোট করা হয়েছে , কিন্ত তার ডিউটি অফ করা হয়নি।
এদের বস হচ্ছে এএসও মামুন। এই এএসও মামুন অবসর প্রাপ্ত এক সিকিউরিটির মেয়ের জামাই এবং সিকিউরিটি নূরুল ইসলাম সুজনের ভায়রা। এএসও মামুন , কল সাইন-৩৩ শাহজালালে হেল্পলাইনের লোকদের থেকেও চাদা আদায় করছে বলে সুত্রে জানা যায়।
এই সিন্ডিকেড কর্মাশিয়াল ডিল করে মানব পাচার করে দুহাতে কামিয়ে আজ বহু বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছে। এর মধ্যে সিকিউরিটি বাশারের ‘এ’ শিফট দক্ষিণখান প্রেমবাগানে বাড়ি, নারায়নগনজ শহরে বাড়ি আছে বলে সূত্র জানা যায়।
বাশার জানায় দক্ষিণখান প্রেমবাগানে আমার একটি ফ্লাট আছে, নারায়নগনজ শহরে বাড়িটি আমার বোনের নামে।
ডমেস্টিকে এএসও মাসুদেও প্রটোকল বানিজ্য: ডমেস্টিকে ‘এ’ শিফটে কর্মরত এএসও মাসুদ বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের সাথে লিয়াজো করে এয়ার লাইন্স-এর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের প্রটোকল করার নামে রীতিমত বাণিজ্য করছে। তার সহযোগি হচ্ছে অপরেটর বিল্লাল, রনি। ডিএসও মাহমুদুল হাসান এসব জেনেও না জানার ভান করে থাকে।
সুত্র জানায়, শাহজালালে কর্মরত বেবিচকের প্রায় শতাধিক নিরাপত্তা রক্ষী, নিরাপত্তা অপারেটর, এএসও, ডিএসও মানব পাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে রয়েছে। এদেরকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বদলির সুপারিশ করা হলেও এখনও বদলি করা হয়নি। এদেও বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় গোয়েন্দা হলেও তা আমলে নেয়া হয় না। নিরাপত্তা বিভাগ থেকে বর্তমানে কিউএস-এ ডিউিটি এখন আবার এভসেকের কর্মকর্তাদের টিমে নাকি ডিউটি করে সেই মোহাম্ম আলি জিন্নহ গত ৩০ বছর ধরে শাহজালালে কর্মরত, তাকে একদিনের জন্যও কোথায় বদলি করা হয়নি। তোফায়েল, তার শ্যালক আজাদ, নোয়াখালির মিজান দীর্ঘদিন যাবত শাহজালালে কর্মরত। এরা মানব পাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত বলে সূত্র জানায়।
সূত্রমতে বেবচিক কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের কর্মচারি, ম্যানপাওরের অফিসার মহিদুল, হেলাল, হান্নান ভুয়া ম্যানপাওয়ার সনদ সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের সরবরাহ করে মানব পাচারে সহায়তা করছে। ম্যানপাওয়ারের এই হেলাল, মহিদুল, হান্নান দীর্ঘদিন যাবত শাহজালালে কর্মরত। বদলি করা হয় না, একবার মহিদুলকে চাদপুরে বদলি করা হলেও ১ মাস পরই আবারে শাহজালালে ফিরে আসে। ৪ হাজার ভুয়া ম্যানপাওয়ার সনদ সরবরাহ করায় ম্যানপাওয়ারের ২ কর্মীর বিরুদ্ধে দুদক মামলাও করেছে। কিন্ত হেলাল, মহিদুল, হান্নান এখনও ধরাছোয়ার বাইরে।
বেবিচকের এলআর শাহিন মানব পাচারে জড়িত বলে সূত্রে জানা যায়। সম্প্রতি উত্তরায় এক পুলিশ কর্মকর্তার মানব পাচার সংশ্লিষ্ট রফাদফা করছে –এমন একটি ছবি আমাদের দপ্তরে এসেছে। ছবিতে এলআর শাহিনকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)
