স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল র. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিশ্চ্রিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ছিনতাইচক্রের সক্রিয় সদস্য সৌদী ফেরত যাত্রী লিয়াকতের মেয়ের গলা থেকে টান মেরে ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনতাই করে দৌড়ে পারলনোর সময় যাত্রীর আর্তচিৎকারে কর্তব্যরত বিমান বহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে। পরে তার থেকে স্বর্নের চেইন উদ্ধার করা হয়।
৩০ মার্চ ভোর ৪ টার দিকে বিমানবন্দরের ২নং টার্মিনালের ২ নং ক্যানপির ভিতরে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘ্েট। পরে তাকে বিমান বন্দর ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট তুললে ১ মাসের জেল জরিমান করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্নের চেইন যাত্রী লিয়াকতের স্বীকারোক্তি রেখে ফেরত দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ওঠেছে নিশ্চ্রিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেও সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীচক্রের সদস্য কিভাবে ক্যানপির মতো নিরাপত্তাজোনে প্রবেশ করলো? এখানে তো যাত্রী , যাত্রর রিসিভিার এবং যাত্রী সেবায় নিয়োজিত বেবিচকের অনুমোদিত পরিবহন কাউন্টারের জনবল ছাড়া কেউ থাকার কথা নয়। পরিবহন কাউন্টারের জনবলেরও আবার এভসেক কর্তৃক ‘ডি’ পাস আছে। আর যাত্রীর রিসিভাররা গাড়ী নিয়ে ক্যানপিতে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর মালামাল গাড়ীতে তুলে ২/৫ মিনিটের মধ্যে সটকে পড়ার নিয়ম। তাহলে কোনরকম ‘‘িড’ পাস ছাড়া ছিনতাইকারীচক্রর সদস্য ক্যানপির মতো নিরাপত্তা জোনে প্রবেশ করলো কেমনে। তাহলে কি বেড়ায় খেত খায়?
বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গোলচত্বরে পুলিশি চেকিং করে বিদেশগামি যাত্রী ও রিসিভারদের প্রবেশ করানো হয়। ওই প্রবেশগেটে আনসার ও এপিবিএন সদস্যরা সশস্ত্র উিটিরত। তাহলে কি ওদের ম্যানেজ করেই ছিনতাইকারি সদস্য চক্র ভিতরে প্রবেশ করে থাকে।
বিমানবন্দরে এ ধরনের ঘটনা অহরহ। মাঝেমধ্যেই ছিনতাই কার্য ঘটার খবর পত্রিকায় ফলাও হয়। অনেক সময় পরিবহন সেবার নামে পরিবহন সদস্যরাও তাদের গাড়িতে করে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে নিজ গন্তব্যে পৌছানোর সময় পথিমধ্যে যাত্রীর সর্বস্ব ছিনতাই করে যাত্রীকে সর্বস্ব করে দেয়। তবে ঈদকে সামনে রেখে বিমানন্দরসহ পুরো ঢাকা শহরেই ছিনতাইকারীদের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে।
অনেক সময় আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের নাকের ডগায় ছিনতাই হয়ে থাকে। র্যাবের সদস্য মিজান দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ন পাচার/ছিনতাই করতে গিয়ে অবশেষে ধরা খেয়েছে। বর্তমানে জেলে আছে ।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।