ডেক্স নিউজ : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গতকাল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টারমিনাল ও কার্গো ওয়ারহাউস পরিদর্শন করেছেন। এসময় সিএএব ‘র চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া হোসেন, বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর কার্গো প্রতিনিধি, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শওকত, স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট, বিমানবন্দর কাস্টমস প্রতিনিধি ও সিএএবি এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি আসন্ন কার্গো ফ্লাইট অপারেশন সংক্রান্ত পূর্ব প্রস্তুতির অগ্রগতি, স্বতন্ত্র কার্গো ফ্লাইট অপারেশন হ্যান্ডলিং মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানি কার্গো একসেপ্টেন্স এরিয়া সমপ্রসারণ, একসেপ্টেন্স এরিয়ার জন্য নতুন প্রয়োজনীয় শেড নির্মাণ, একসেপ্টেন্স এরিয়ায় নতুন ওয়েয়িং মেশিন স্থাপন, অচল কোল্ড স্টোরেজ মেরামত, নতুন দুইটি ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ও বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি বিমানবন্দরে চলমান নানা উন্নয়নমূলক কাজ ও যাত্রী টারমিনাল ভবন পরিদর্শন করেন। এসময় বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বেবিচক চেয়ারম্যানকে বেশকিছু দিন যাবত অচল পড়ে থাকা ইন্টারন্যাশনাল এরাইভাল হলের স্কেলেটর পরিদর্শন করান এবং এর কারণে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় বেবিচক চেয়ারম্যান উপস্থিত সিএএবি এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এদেশটা আমাদের সবার। দেশের উন্নয়নে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ায় আমাদের জন্য কার্গো পরিবহনের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি সকল অংশীজনকে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিটি বিমানবন্দর হবে যাত্রীবান্ধব। এক্ষেত্রে আমাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কোনো বিকল্প নাই।
বিশেষ করে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের বিদ্যমান ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ ঘোষণা করায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চট্টগ্রাম এ কার্গো ফ্লাইট অপারেশন এর যে সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে তাকে পরিপূর্ণ ও সফলভাবে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।