ডেক্স প্রতিবেদন : কবি, লেখক ফরহাদ মাজহার দাবি করেছেন মারধর করে , চাপ প্রয়োগ করে তার থেকে মিথ্যা তথ্য আদায় করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর তার শ্যামলির বাসায় চারমাস পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা দাবি করেন। তবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা ফরহাদ মাজহারের এ দাবি অস্বীকার করেছেন। নিখোঁজের চার মাস পর গণমাধ্যমের সঙ্গে এই প্রথম কথা বললেন লেখক-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মাজহার। ‘গুম’ করার উদ্দেশ্যে তাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন। ফরহাদ মজহার বলেছেন, সেখান থেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরাল ভূমিকা রেখেছে, তবে পরে চাপ দিয়ে ও মারধর করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
ফরহাদ মজহারকে অপহরণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ দেওয়ার অভিযোগে তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ আদালতের অনুমতি নেয়ার একদিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে একথা বললেন তিনি।
গত ৩ জুলাই ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ‘ফরিদা, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
পরে তার স্ত্রী আদাবর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে র্যাব-৬ যশোর নওয়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে আদাবর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ফরহাদ মজহার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার স্ত্রীর করা যে জিডিটি মামলা আকারে নেওয়া হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম হিসেবে ফরহাদ মজহার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, সেদিন গুমের হাত থেকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। পরে ঘটনা আড়াল কারার চেষ্টায় তাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে।
ডিবি অফিসে বিধ্বস্ত অবস্থায় আমাকে জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য একটি লিখিত কপি দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড বিভ্রান্ত অবস্থায় আদলতকে বলতে পারি যে, আমার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আমার ভীতি ও ট্রমা এখনও কাটেনি। ডিবি অফিস আমাকে দিয়ে যা লিখে নিয়েছে, আমি তাই আপনাকে দিচ্ছি। এরপর তার (আদালত) অনুমতি নিয়ে তার (বিচারক) কক্ষের একটি সোফায় আমি এলিয়ে পড়ি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আজই শেষ না, আরও কথা হবে। আমি শুধু আমার একার জন্য বসিনি। দেশে যারা গুম হয়েছে, তাদের জন্যও আপনাদের সঙ্গে বসেছি।’
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)