সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পূর্বের নামকরণ, যাত্রী হয়রানি বন্দ, প্রভাবশালী তদবিরবাজ চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুতসহ ১২ দফা দাবিতে বেবিচক নয়া চেয়ারম্যান বরাবর তিন শতাধিক কর্মচারির স্মারকলিপি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার : সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পূর্বের নামকরণ, বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধ, প্রভাবশালী চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুতি, বিগত ১৬ বছরে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে যে সব যোগ্য- অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বন্ধ করা হয়েছে-সে সব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান , সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে ‘আবু সাঈদ বিমানবন্দর’ নামকরণসহ ১২ দফা দাবিতে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃৃপক্ষের ৩ শতাধিক কর্মচারি বেবিচকের নয়া চেয়ারম্যান বরাবর ১১ আগস্ট স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যানের পিএস সোহেল কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত করে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছেন। তবে স্মারকলিপিতে চিহ্নিত কোন দুর্নীতিবাজের নাম উল্লেখ করা হয়নি। নিম্নরূপ:

 

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদ আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ-সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ দেশ আমাদের সবার। বাংলাদেশ ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান অন্য আর দশটা প্রতিষ্ঠানের মতো গতানুগতিক নয়। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন, সকল সংস্থা কর্তৃক যাত্রী হয়রানী বন্ধ করার দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ-সহ সিভিল এভিয়েশনের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট প্রয়োজনীয় সংস্কারের নিমিত্ত নিম্নোক্ত দাবি পেশ করছে।

১) রেমিটেন্স যোদ্ধাসহ সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক “স্যার” বা “ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করে এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারী করতে হবে।

২) বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ও সেবা কার্যক্রম অধিকতর মানবীয় করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার নিমিত্ত বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।

৩) বিগত ১৬ বছরে বেবিচকের যে সকল চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারী জোটবদ্ধভাবে কর্তৃপক্ষের স্বাভাবিক কাজে বাধা দানের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে পত্র প্রেরণ ও তদবির-সহ কর্তৃপক্ষের কাজে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে চাকুরী হতে অব্যাহতি দিয়ে সার্বিক ভাবে কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হব।

৪) যাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাঁদের পদোন্নতি প্রদান করতে হবে  এবং যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে।

৫) বর্তমানে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের পূর্বেই বিগত ০৫ বছরে যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও শুধুমাত্র গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে চাকুরী পায়নি সে সকল হতভাগাদের তালিকা করে তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

৬) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় নাম পূর্বে যা ছিল তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭) সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর” রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮) বেবিচকের যোগ্য কর্মকর্তাদের কর্তৃপক্ষের ‘সদস্য’ পদে নিয়োগের বিধান চালু করতে হবে।

৯) নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত সিভিল এভিয়েশনের সকল পদে কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১০) বিদেশ ভ্রমণের সরকারী আদেশ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে অস্ত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারির নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১) সিভিল এভিয়েশনের সকল কার্যক্রম যাতে অস্ত্র কর্তৃপক্ষের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২) কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, আবাসন, আর্থিক ও জনবল কাঠামো সংক্রান্ত বিদ্যমান অসঙ্গতি দূরীকরনে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।