স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা ড. নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দচন্দ্র প্রমাণিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, কবি আব্দুল হাই সিকদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।
সংবর্ধনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী ছিলেন গণতন্ত্রের সত্যিকারের নায়ক। আমরা যখন কথা বলতে পারিনি, তখন মুশফিক আমেরিকা এবং ইউরোপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এমন সন্তান বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়া দরকার। তিনি বলেন, মুশফিক গণতন্ত্রের সত্যিকারের হিরো (নায়ক) ছিলেন। মুশফিক আমাদের কাছে, এই দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে তিনি হিরো হিসেবে থাকবেন। ফখরুল বলেন, মুশফিক ও তার সঙ্গীরা ফ্যাসিবাদী হাসিনার অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে দেশে থাকতে পারেননি। তারা লড়াই করেছেন বাইরে গিয়ে। আর আমরা দেশের ভিতর থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং বিজয় অর্জন করেছি ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে। এই বিজয় তখনি সুসংহত হবে, যদি আমরা এটাকে ধরে রাখতে পারি। আমাদের যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ঐক্যকে যদি আমরা অটুট রাখতে পারি। আজকে সুপরিকল্পিতভাবে সেই ঐক্যকে বিনষ্ট করার একটি চক্রান্ত চলছে। সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সংবর্ধনায় মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ফুলেল সংবর্ধনা দেন বিভিন্ন্ সাংবাদিক সংগঠন। মুশফিকুল তার বক্তৃতায় বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা কিন্তু এখনো বসে নেই। তারা কিন্তু দেশেই আছে। সরকার পতনকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, তা নস্যাৎ করতে নানাভাবে কাজ করছে। গত ১৫/১৬ বছর সাংবাদিকরা মুক্ত সাংবাদিকতা করতে পারেনি। কারণ কিছু গণমাধ্যম বাদে যারা মিডিয়া চালায় তারা কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের দোসর। তাদের কারণেই দেশে মুক্ত সাংবাদিকতা হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি কোনো গণমাধ্যম বন্ধের পক্ষে নই। যেসব গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেনি সেসব গণমাধ্যমকে জনগণের মালিকানায় নিয়ে এসে সত্য সাংবাদিকতা করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একজন ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রের আপৎকালীন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন।নির্লোভ এই মানুষটিকে দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমার চেয়েও বাংলাদেশে থেকে যারা আন্দোলন করেছেন দেশের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা বেশি। আমি বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করে এবং গণতান্ত্রিক মানুষের অধিকার হরণের বিষয় তুলে ধরেছি। কিন্তু এখানে ছাত্র-জনতা নিজের বুক অস্ত্রের সামনে মেলে ধরেছেন। সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন আমাদের কারও ভুলে নস্যাৎ না হয়।