স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে সন্দেহজনক আচরণের কারণে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করা হয়। রোববার রাত আনুমানিক ১টা ২০ মিনিটে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত নিরাপত্তাকর্মীর নাম মো. ওহিদুর। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার নিজড়া গ্রামের বাসিন্দা। ওহিদুর রহমান সেমসুতে প্রবেশগেটে কর্মরত। দিনে ডিউটি করে রাতে কন্ট্রাক্টে স্বর্ন পাচার করতে শাহজালাল বিমানবন্দরে যায়। ডি পাস দেখিয়ে যথারীতি সে ভিতরে প্রবেশ করে। বডি ফিটিংসে সোনা অপারেশনে করে সটকে পড়ার সময় কাল হয়ে দাড়ায় একটি গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যরা । তাকে চ্যালেন্ঞ ছুড়ে দয়া হয়।
ভিতরে প্রবেশ করে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় কর্তব্যরত এনএসআই সদস্যরা তাকে ভিতরে প্রবেশের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। সন্দেহের ভিত্তিতে তার দেহ তল্লাশি করা হলে তার কাছ থেকে ১ হাজার ২ শত ৫০ সৌদি রিয়াল, বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও ৩টি স্বর্ণের বারসহ মোট ৫৪২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের (SV-804) রিয়াদ-ঢাকা ফ্লাইটের যাত্রী আলামিন নামক এক ব্যক্তি তাকে উক্ত স্বর্ণালংকার হস্তান্তর করেন। তিনি এগুলো বিমানবন্দরের বাহিরে অপেক্ষমান লিটন নামক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে ১ হাজার ২শত ৫০ সৌদি রিয়াল প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন।
এদিকে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে স্বর্ন পাচার করতে গিয়ে বেবিচকের একাধিক নিরাপত্তা কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন, কেউ কেউ চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কিন্ত পরিচালক অডিটের ভাগিনাখ্যাত হাকিম দুই দুইবার স্বর্ন পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেও চাকরিচ্যুত হয়নি। মামার জোরে এখনও বহাল।সদস্য পরি পরি’র ভাই, নির্বাহি পরিচালক শাহজালালের অফিস সহায়ক-এর ভাই স্বর্ন পাচার করতে গিয়ে ধরা খায়।
বডি ফিটিংস মেজবাহ স্বর্ন পাচার করে চাকরিচ্যুত্য হয়েছেন। পরে তিনি এলপিআরে চলে গেছেন। তার বাড়ি গোপালগনজে। তিনি শেখ সেলিমের প্রটোকল করতেন, নাম ভাংগিয়ে চলতেন।
উল্লেখ্য, বেবিচক বিমানবন্দরে দুর্নীতি ও অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অনুসরণ করছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা করছে। কিন্ত যে সব বেবিচক কর্মী ২৫ বছর ধরে শাহজালালে কর্মরত তাদেরকে বদলি না করলে অনৈতিক কাজ বন্ধ হবে কি?
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, শাহজালালে অর্ধশত বেবিচক কর্মী ও অন্যান্য এয়ার লাইনস মিলে শতাধিক কর্মী বিভিন্ন পাচারে সিদ্ধহস্ত।এদেরকে বিমানবন্দর থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ সম্বলিত গোয়েন্দা রিপোর্ট ভেস্তে গেছে। নিরাপত্তা বিভাগের আজাদ , মিজান, তোফায়েলরা এখনও শাহজালালে বহাল।