৩ কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে বেবিচক কর্মচারীদের স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার: ৩ কর্মকর্তার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা।

পদত্যাগ দাবি করা কর্মকর্তারা হচ্ছেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ (যুগ্ম সচিব), তার ছোট ভাই আইন ও বিচার বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আবু সালেহ মো. সালাউদ্দিন খাঁ (উপসচিব-রেজিস্ট্রেশন) এবং উপ পরিচালক (এভসেক ট্রেনিং) রাশিদা সুলতানা।

এ ছাড়া আরো ৩ কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার টানানো হয়েছে। অপসারণ দাবি করা কর্মকর্তারা হচ্ছেন বেবিচক সদস্য এ এফ এম আতিকুজামান ও বেবিচক সদস্য অর্থ এম এম লাবলু রহমান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, নাটোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আত্মীয় সিভিল এভিয়েশনের সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ (যুগ্ম সচিব)। তিনি বিসিএস ২০তম ব্যাচে একজন সরকারের আমলা। জুনাইদ আহমেদ পলক ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি এয়ারপোর্টে তাকে সহযোগিতা করেন। বিষয়টি এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নজরে এলে জুনাইদ আহমেদ পলককে আটক করা হয়। তখন বিরোধী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তিনি চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন। তাছাড়া সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁর ছোট ভাই আবু সালেহ মো. সালাউদ্দিন খাঁ বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দেন। এ ছাড়া সিভিল এভিয়েশনের উপপরিচালক (এভসেক ট্রেনিং) রাশিদা সুলতানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের হাজারো অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলি আমলে না নিয়ে রাশিদা সুলতানাকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ। রাশিদা সুলতানাকে পাবনা বিমানবন্দর ঈশ্বরদীতে বদলি করা হয়েছে। রাশিদা সুলতানার বদলি ঠেকানোর জন্য তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন। রাশিদা সুলতানার পদত্যাগ দাবি জানান তারা।

এতে উল্লেখ করা হয়, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দোসর ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট এবং সাবেক দুর্নীতিবাজ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আত্মীয় ও আশ্রয়দাতা সিভিল এভিয়েশনের সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মহিউদ্দিন খাঁ (যুগ্মসচিব) এবং তার ছোট ভাই আবু সালেহ সালাউদ্দিন খাঁকে অনতিবিলম্বে চাকরি হতে অব্যাহতি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

স্মারকলিপিতে বেবিচক সদস্য এ এফ এম আতিকুজামান সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের আত্মীয় ও বেবিচক সদস্য অর্থ এম এম লাবলু রহমান সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সহচর। এরা সবাই বিগত সরকারের মদদপুষ্ট, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এবং দুর্নীতিবাজ। বেবিচকের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর যায়গা থেকে অবিলম্বে তাদের অপসারণ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।