বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
চালু হচ্ছে আরো ৭ নতুন বিমানবন্দর

ডেক্স রিপোর্ট : দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিত্যক্ত, অব্যবহৃত ও দখলে থাকা ৭টি বিমানবন্দর নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে। বেবিচকের ২০৩০ সালের কর্মপরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। আরও জানা গেছে, বর্তমানে এই বিমানবন্দরগুলোর কোনোটিতেই বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করছে না।
কয়েকটি রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার দখলে। অনেকগুলো বিমানবন্দরের রানওয়েতে গরু-ছাগলসহ গবাদি পশু অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো কোনো বিমানবন্দরের চারদিকে বাউন্ডারি দেওয়ালসহ কোনো ধরনের নিরাপত্তা চৌকি নেই।
রানওয়েতে ক্রিকেট খেলেন স্থানীয়রা। আবার কোনো কোনো রানওয়েতে জন্মেছে বড় গাছ। ঘাস বড় হওয়ায় অনেক রানওয়েও দেখাও যায় না। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত থাকায় রানওয়ের শক্তি পিসিএন (পেভমেন্ট ক্ল্যাসিফিকেশন নাম্বার) নষ্ট হয়ে গেছে। আর সংস্কার না করায় ও পানি জমে যাওয়ায় কোথাও কোথাও রানওয়ের পিস ঢালায় ও ব্লক ভেঙে গেছে।
বেবিচকের পিএন্ডডিকিউ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে ২৮টি বিমানবন্দর রয়েছে। এগুলো ব্রিটিশ সরকারের আমলে তৈরি। সব বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফুটের মধ্যে।
রানওয়েগুলো বর্তমানে যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনায় অনুপযুক্ত। পর্যায়ক্রমে এই রানওয়েগুলোর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার ফুটে উন্নীত করার টার্গেট আছে বেবিচকের।
এছাড়া রানওয়ের পিসিএন ৩০ থেকে ৬০ ফুট করার টার্গেট আছে। তাহলে এটিআর কিংবা ড্যাস-৮ কিউ ৪০০ মডেলের ছোট ছোট যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট অপারেশন শুরু করা সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর মেরামত ও সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ কাজের ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে কাজ চলছে। এছাড়া সারা দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। শিল্প কারখানার পাশাপাশি দেশব্যাপী পর্যটন খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। একের পর এক মেগা প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এসব কারণে নতুন নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বগুড়া বিমানবন্দরের বর্তমান এয়ারস্ট্রিপটি বড় বিমানের জন্য উপযুক্ত নয়। লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এবং অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
বড় বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের রানওয়ে ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। এয়ারফিল্ডটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে, যার কারণে বিমানগুলোকে নো-ফ্লাই বিধিনিষেধের মুখোমুখি পড়তে হতে পারে।
শমশেরনগরেরও রানওয়ের দৈর্ঘ্যও বাড়াতে হবে। এজন্য প্রচুর জমি ও অর্থ দরকার। খানজাহান আলী বিমানবন্দর নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা অভ্যন্তরীণ রুটের আরও কয়েকটি নতুন বিমানবন্দর চালুর চিন্তাভাবনা করছি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাণিজ্যিকভাবে সফল বিমানবন্দরের জন্য দুটি শর্ত মানা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত যাত্রী এবং উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য দরকারি অবকাঠামো। যে ৬টি বিমানবন্দর চালুর টার্গেট রয়েছে সেগুলোতে পর্যাপ্ত যাত্রী চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়টির অভাবেই দেশের ১১টি আঞ্চলিক বিমানবন্দরের মধ্যে ৬টিতেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দেশের পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলীয় জেলা পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দর এরমধ্যে অন্যতম। ১৯৬২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ঢাকায় ফ্লাইটের আসা-যাওয়া ছিল।
এরপর ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে কার্যক্রম শুরু করলেও, আবারও বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে। অথচ এই উপজেলায় নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।
রয়েছে একটি সক্রিয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর অভিযোগ, এই বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর্ঘ্য কম। এছাড়া পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই।
এয়ার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাও খারাপ। বহু বছর ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, লালমনিরহাট, কুমিল্লা এবং শমশেরনগর বিমানবন্দরের অবকাঠামোও একই রকম। বেশিরভাগ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এবং পাকিস্তান আমলে সেগুলোয় বাণিজ্যিকভাবে বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে কক্সবাজার, রাজশাহী, যশোর, সৈয়দপুর ও বরিশালের বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাণিজ্যিকভাবে চালু রয়েছে। বেসরকারি বিমান সংস্থা-নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, এয়ার অ্যাস্ট্রা, ভিস্তেরা এবং জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান ঢাকা থেকে এসব গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
আরও কয়েকটি বেসরকারি বিমান সংস্থা বর্তমানে ফ্লাইট অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর মতে, গত কয়েক বছরে ঢাকা থেকে পাঁচ জেলায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যাত্রী সংকটের কারণে ২০১৩-১৪ সালে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সৈয়দপুরে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করাও কঠিন ছিল। কিন্তু এ রুটে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২১টি (রাউন্ড ট্রিপ বা ফিরতি যাত্রা ধরলে ৩০টি) ফ্লাইট চালাচ্ছে। তারপরও টিকিট পাওয়া যায় না। বরিশাল ছাড়া অন্যান্য সব গন্তব্যেও একই অবস্থা।
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর প্রস্তাব দিয়েছি।
শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যই নয়, কৃষিভিত্তিক কিছু শিল্পও আছে এখানে। আমরা মনে করি, এটা একটা ভায়েবল অপারেশন (বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক) হবে। একইভাবে পর্যটন বাড়ায় শমশেরনগরেও প্রচুর সম্ভাবনা আছে।
শমশেরনগর বিমানবন্দরটি ১৯৯৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়। কিন্তু অবকাঠামোগত সংকটের কারণে ঢাকা-শমশেরনগর রুট স্থগিত করা হয়। বর্তমানে বিমানবাহিনী প্রশিক্ষণের জন্য সিলেট শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিমানবন্দরটি ব্যবহার করছে।
গত এক দশকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পর্যটকদের জন্য দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, গ্র্যান্ড সুলতান এবং দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পাসহ অনেক হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে সবুজের সমারোহ দেখতে আসা পর্যটকদের কারণে এটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে রূপ নিয়েছে। শমশেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে এটি পুরো পর্যটন অঞ্চলে সেবা দিতে পারবে। বর্তমানে, ঢাকা থেকে শমশেরনগরে সড়ক ভ্রমণে ন্যূনতম পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সৈয়দপুরে ফ্লাইটের ব্যস্ত লগের কথা উল্লেখ করে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরও পুনরায় চালুর পক্ষে মত দেন।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদ উল আলম মনে করেন, সড়কে যানবাহনের চাপ প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। এ কারণে বন্ধ থাকা অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলো আবার চালু করা গেলে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো অবশ্যই ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, যাত্রী আছে এবং তারা বিমান ভ্রমণের জন্য খরচ করতেও প্রস্তুত। আমাদের প্রথম কাজই হবে এয়ারফিল্ডগুলোকে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনা।
কুমিল্লা বিমানবন্দর ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে চালু ছিল। ১৯৯৪ সালে এটি পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় দুই সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ অঞ্চলে দ্রুত শিল্পায়নের ফলে বিমান চলাচলের চাহিদা বদলেছে। তাছাড়া এ জেলায় একটি ইপিজেড থাকলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রাজধানী থেকে সহজে সেখানে যেতে পারেন না।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ৯০-এর দশকে যখন কুমিল্লা বিমানবন্দর ফ্লাইট স্থগিত করেছিল, তখন যানজট বলতে কিছুই ছিল না।
কিন্তু এখন তিন ঘণ্টা সময়েও ঢাকা থেকে সড়কপথে কুমিল্লা পৌঁছানো যায় না। অথচ ফ্লাইটে মাত্র ২৫ মিনিটে কুমিল্লা যাতায়াতের সুবিধা মিলবে। বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু হলে চাঁদপুর ও ফেনী অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার আরও ভালো সংযোগ তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার মতে ১৭-১৮ আসন বিশিষ্ট বিমানগুলো ঢাকা-বগুড়া এবং ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে বাণিজ্যিকভাবে চালু করা যেতে পারে। এতে করে ১০-১১ জন যাত্রী নিয়েও একটি ফ্লাইট কোনোরকম লোকসান ছাড়াই চলাচল পারবে।
কুমিল্লা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আবদুল গণি বলেছেন, প্রতিদিন আমাদের সিগন্যাল ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক রুটের ৩৫ থেকে ৪০টি বিমান।
এতে মাসে ৩০ লাখ টাকার মতো আয় করছি। এ বিমানবন্দরে সবকিছুই আছে। শুধু উদ্যোগের অভাবে এখানে বিমান উঠানামা করে না। বর্তমানে আমাদের এখানে ২০ জন কর্মরত রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে একটু উদ্যোগ নিলেই বিমানবন্দরটি সচল করা সম্ভব। এজন্য রানওয়ে মেরামতসহ কিছু কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আরও ২০-২২ জন লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। আমরা চাই দ্রুত বিমানবন্দরটি চালু হোক।
পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তা জলুর রহমান বলেন, বিদেশি ক্রেতারা ঘন ঘন ইপিজেডে আসছেন। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীতে অন্যান্য শিল্প ও পর্যটন বিকাশ লাভ করছে। বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় মানুষ (যাতায়াত) সমস্যায় পড়েছে।
পায়রা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর : সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটার কোল ঘেঁষে পায়রা বন্দরে এবার পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য গ্রহণ করা হয়েছে ‘পায়রা বিমানবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্প।
এই বিমানবন্দর থেকে শুরুতে অভ্যন্তরীণ রুটে উড়োজাহাজ চলাচল করবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রুটে উড়োজাহাজ চলাচলের সার্বিক দিক-বিবেচনা করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পায়রায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করতে হলে, উত্তরে-দক্ষিণে ৮ কিলোমিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৫ কিলোমিটার, অর্থাৎ কম-বেশি ৯ হাজার ৮৮৫ একর জায়গার প্রয়োজন হবে। তাদের বক্তব্য, এই বিমানবন্দর বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের নতুন মাইলফলক রচিত হবে। ব্যাপক গতি আসবে পর্যটনশিল্পসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যে।
গড়ে উঠবে কল-কারখানাসহ ছোটবড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। হবে অর্থনৈতিক জোন। পায়রা বন্দর ছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও পর্যটক আকর্ষণে এখানে রয়েছে সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পট সোনারচরসহ রয়েছে শতাধিক দ্বীপ ও চর। কর্মসংস্থান হবে এ অঞ্চলের হাজার হাজার বেকার যুবকের। পালটে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান। ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটে নতুন মেরুকরণ হবে দেশের অর্থনীতি।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।