শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালাল বিমানবন্দর : তৃতীয় টার্মিনালে বাড়তি ব্যয় ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান , অক্টোবরেই উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, একক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হতে মনিটর হবে

নিউজ ডেক্স : হযরত শাহজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের একাংশের উদ্বোধন চলতি বছরের অক্টোবরে হতে পারে। এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ করার সময় নির্ধারিত ছিল ২০২৪ সাল। কিন্তু অক্টোবরে একাংশের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কাজ চলছে জোরেশোরে। কাজ এগিয়ে নিতে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগসহ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়িয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ বাবদ তাদের অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সমকালকে জানান, বিমানবন্দরে বড় দুটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে- তৃতীয় টার্মিনাল ও অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম। এরই মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৬১ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপদে উড়োজাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম স্থাপনে উঁচু টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবরে এ দুটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই শেষ করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, বর্তমানে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। এ কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা।

এ বিষয়ে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক জানান, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। প্রকল্পটি পরিচালনা করছে এডিসি। জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং টার্মিনালের নির্মাণকাজ করছে। তিনি জানান, কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে (টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২) ১০ লাখ বর্গফুটের মতো জায়গা আছে। নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শাহজালাল বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি হবে। কার্গোর ধারণক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে। ফলে একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সব কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে একটি পৃথক আমদানি-রপ্তানি কার্গো হাউস স্থাপন ও নতুন ?ভিভিআইপি টার্মিনাল প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা করা হয়। সমকাল

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।