শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি : সচিবদের জরুরি চিঠি তলবে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ

ডেক্স রিপোর্ট : করোনার আঘাত মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটা সংবেদনশীল, তৎপর, প্রশাসন বা সরকারের অন্যরা ততটা নয়। প্রধানমন্ত্রী যত দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দিচ্ছেন, বাস্তবায়নে ততটাই পিছিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়। মানুষের জীবন বাঁচানো থেকে শুরু করে তাদের স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসার যাবতীয় খোঁজখবর যেমন তাঁকেই নিতে হচ্ছে, তেমনি পোশাককর্মীদের বেতন-ভাতা, তাঁদের ছাঁটাই না করা, ধান চাষ বাড়ানো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু, সবার জন্য প্রণোদনা, ঋণের কিস্তি ও সুদ স্থগিত করা, দরিদ্রদের খাবার পৌঁছানো থেকে শেরপুরের ভিক্ষুকের মহানুভবতার দিকটিও নজরে রাখতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি এক পা হাঁটলে যেখানে অন্যদের দৌড়ানোর কথা, সেখানে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তিনি একাই দৌড়াচ্ছেন।

বেশির ভাগ এমপি, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রসহ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা মানুষের সেবায় অনুপস্থিত। উল্টো কতিপয় জনপ্রতিনিধির চাল ও তেল চুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে করোনার ক্ষতি সামলানো প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে সাবেক সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া গত ২৮ এপ্রিল  মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, করোনার আঘাতের পর থেকেই মন্ত্রণালয়গুলোর সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করার পাশাপাশি করণীয় কর্মপরিকল্পনা জানানোর কথা। তা না হয়ে থাকলেও এখনি তা করা উচিত। এ ছাড়া অর্থ, পরিকল্পনা, ইআরডি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কিভাবে করা যায়, অর্থের সংস্থান কিভাবে হবে, এবারের বাজেট কী রকম হবে—এসবসহ সার্বিক একটি কর্মপরিকল্পনা ও কার কী দায়িত্ব তা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত অবহিত করা দরকার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও যেসব সার্কুলার জারি করছে, তা শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেখে চূড়ান্ত করা দরকার। না হলে নানা অসংগতি থেকে যাবে।

করোনার আঘাতে একই সঙ্গে জীবন বাঁচানো এবং নিজের খাওয়া-পরার যুদ্ধ করছে মানুষ। দরিদ্র মানুষের সহায়তায় অর্থ, খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সরকারি নানা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসএমই, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ভর্তুকি দিয়ে তহবিল দিয়েছেন। দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের যাতে খাবারের সমস্যা না হয়, সে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তবে তিনি সব কিছু সময়মতো দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর ত্বরিত কাজ করতে না পারায় এখনো কার্যকর সুফল নেই এসব প্রণোদনা বা ঘোষণার। এখনো সব প্রণোদনা প্যাকেজে নানা অসংগতিও ধরা পড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব প্যাকেজ তদারকি করছে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে। তবে লকডাউনের কারণে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ সভা হচ্ছে না দুই মাস ধরে। ফলে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

করোনার আঘাতের পর প্রায় পৌনে দুই মাস হতে চলল। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঠিকই সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেননি। এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার মন্ত্রণালয়ের আওতায় কোন কোন খাতে কী কী ক্ষতি হয়েছে, তাদের জন্য করণীয় কী হতে পারে ইত্যাদির সারমর্ম প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানানো প্রয়োজন থাকলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক মন্ত্রণালয়ই তা করেনি। উল্টো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট কর্মপরিকল্পনা জানাতে বলা হয়েছে।

আজ  ২৯ এপ্রিল বুধবারের মধ্যে সবাইকে তথ্য পৌঁছানোর জন্য বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, তাদের মন্ত্রণালয়ের আওতায় যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে এসব তথ্যের পাশাপাশি সংকট উত্তরণে গৃহীত পদক্ষেপ ও উদ্যোগ, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার সব তথ্যও দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এডিপি বাস্তবায়নের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত—এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানতে চাওয়ার আগেই মন্ত্রণালয়গুলোর নিজে থেকে জানানোর কথা। অথচ সময়মতো তা জানানো হয়নি বলেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পত্র দিয়ে এসব তথ্য চেয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তৎপরতা সুচারুভাবে পরিচালনার নির্দেশ দিলেও শুরু থেকেই এ খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে মেম্বার-চেয়ারম্যানদের অনেকেই উল্টো সরকারি চাল ও তেল চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এমন ঘটনা দেশের বিভিন্ন জেলায় ধরা পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তৎপরতায় স্বচ্ছতা আনতে প্রথমবারের মতো দেশের ৬০ সচিবকে ৬৪ জেলার দায়িত্বে পাঠান। সূত্র জানায়, তঁদের অনেকে এখনো নিজ নিজ জেলায় যাননি। রাঙামাটি জেলার ত্রাণ ও করোনা পরিস্থিতি তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সবাই হয়তো একসঙ্গে যাচ্ছেন না। তবে যেতে হবে, না হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও বাস্তবায়ন হবে না। তিনি জানান, এরই মধ্যে তিনি রাঙামাটি জেলা পরির্দশন করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

নাটোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরই ভিডিও কনফারেন্স করেছি। পরের দিন চলে যাই সশরীরে। সেখানে এখনো করোনা রোগী নেই। তবে অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ত্রাণব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’

কৃষিসচিব মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামানের দায়িত্ব পড়েছে নিজ জেলা ঝালকাঠির। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো ওই জেলায় যেতে পারিনি। আপনারা জানেন যে এখন বোরো ধান কাটা হচ্ছে। ওই সব নিয়েই কিছুটা ব্যস্ততায় আছি। শারীরিকভাবে না যেতে পারলেও আমি আমার জেলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, কথা বলছি।’

এ ব্যাপারে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ত্রাণ তৎপরতা খুব সুন্দরভাবে দেশব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সঙ্গে আরো ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। সেটির তালিকা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সম্পন্ন হবে।

শেরপুরের ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন তাঁর জমানো ১০ হাজার টাকা করোনায় অসহায়দের সহায়তার জন্য দান করেন। অথচ তিনি এ টাকা জমিয়েছিলেন নিজের ভাঙা ঘর ঠিক করার জন্য। এ খবর জেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তাঁর ঘর করে দেওয়ার জন্য। তাঁকে দেখে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। যদিও এখনো সমাজের বিত্তবান, হাজার কোটি টাকার মালিক শিল্পপতি, উদ্যোক্তাদের বড় পরিসরে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, যাঁরা হাত পেতে চাইতে পারেন না, তাঁদের আলাদা করে তালিকা করতে হবে। তাঁদের জন্যও কার্ড করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঈদ সামনে রেখে আরো এক দফা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এই কার্ড তৈরির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তালিকা এখনো হয়নি বলে জানা গেছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আভাস দিচ্ছে। এ জন্য কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ধান কাটার পর সেই জমিও যেন পড়ে না থাকে। অথচ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এ বিষয়ে আগেভাগেই অনেক নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে দিয়ে দেওয়ার কথা। অথচ তেমন তদারকি ও নজরদারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এখনো মাঠ পর্যায়ে যায়নি বলে জানা গেছে।

গত ৫ এপ্রিল থেকে এক লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ এসব প্রণোদনা দ্রুত কিভাবে সুবিধাভোগীরা পাবে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর তৎপরতায় ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। কারা পাবে, কিভাবে পাবে, কতটুকু পাবে, ঋণখেলাপি হলে পাবে কি না, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি আর প্রকৃত ঋণখেলাপির ক্ষেত্রে কারা কিভাবে পাবে ইত্যাদি বিষয়ে অসংগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করলেও তার অনেক দুর্বলতায় শিগগিরই সুফল মিলবে না বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রধানমন্ত্রী মানুষের জীবন ও জীবিকা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তাত্ক্ষণিক প্রণোদনা ঘোষণা করলেও এসবের অর্থসংস্থানও একটা বড় বিষয়। নানা নীতি সহায়তা দিয়ে এসব তহবিল জোগানোর কথা তিনি বলেছেন। তবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আয় কমছে। সরকারের ব্যয় বাড়ছে। রপ্তানি আয় কমছে। রেমিট্যান্সও হুমকিতে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি সহায়তা লাগবে। দাতারাও চাপে আছে। কতটুকু সহায়তা পাওয়া যাবে তার ভরসা নেই। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কৌশল কী হবে—তার রূপরেখা প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রীকে জানানো এবং তিনি যা বলেন, তা বাস্তবায়ন জরুরি হলেও এসব কার্যক্রমে আছে অনেক অসংগতি।

আসছে বাজেট করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কিভাবে হবে, তিন মাসের বাজেট হবে, নাকি এক বছরের—তাও চূড়ান্ত করা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাজেট ঘাটতি বাড়বে। তখন করণীয় কী হবে—এ নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, প্যাকেজ-১-এর আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া, ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেওয়া হবে। কিন্তু সার্কুলারের অসংগতির কারণে এখনো তা সুবিধাভোগীরা পেতে শুরু করেনি।

ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেবে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সমন্বয়হীনতা আছে এ খাতেও।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাও অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও দ্রব্যমূল্য রোজা সামনে রেখে বেড়ে চলেছে। পুরনো চক্রগুলো সক্রিয় রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খুলে দেওয়ার কথা বললেও কারখানাগুলোর অনেকেই তা মানছে না। অনেককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা ও তদারকির অভাব বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।