বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট : শিলিগুড়ি, দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সরাসরি ঢাকার সড়ক যোগাযোগের সিদ্ধান্ত

একুশে বার্তা ডেক্স : নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনসিআর) নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সত্ত্বেও ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ পদক্ষেপ বঙ্গোপসাগরীয় আঞ্চলিক সংযুক্তির উদ্যোগের অংশ। এই উদ্যোগ ভারত-প্রশান্ত অঞ্চল সংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংযুক্তিকে আরো উন্নত করবে। ভারতের অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ‘থিম্যাটিক গ্রুপ অন রিজিয়নাল কানেক্টিভিটি’ বৈঠকের পর সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগে আগ্রহী তা জোরালো করে ফুটিয়ে তুলেছে ওই বৈঠক। কারণ, বিবিআইএন-এমভিএ থেকে অস্থায়ীভিত্তিতে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভুটান। এ কারণে বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল (বিবিআইএন) মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) বিলম্বিত হচ্ছে।

এ জন্য ঢাকা তার স্বার্থে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাকা থেকে টেলিফোনে ইকোনমিক টাইমসকে বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা ঢাকা-শিলিগুড়ি-গ্যাংটক (সিকিম)-ঢাকা এবং ঢাকা-শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-ঢাকা রুটে বাস চালুর পরিকল্পনা করছি, যদিও তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিদ্যামান। তবে তা সরাসরি নয়। ফলে সীমান্তে গিয়ে যাত্রীদের গাড়ি পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু নতুন উদ্যোগে, যাত্রীদের বাস পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না। ২০১৫ সালের ১৫ই জুন চারটি দেশ পণ্য ও যাত্রী চলাচল নিয়ে স্বাক্ষর করে মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট। এই চুক্তির অধীনে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো তাদের দেশের ভিতর দিয়ে ট্রাক, কন্টেইনার, যাত্রীবাহী যান চলাচল করতে অনুমোদন দেবে। গত বছর আজারবাইজানের বাকুতে নন-অ্যালাইড মুভমেন্ট সামিট হয়। সেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিওর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেন ভুটানকে বাদ রেখেই সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রকল্প চালু করবেন। সম্প্রতি নয়া দিল্লি সফরে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভারত বাংলাদেশ মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা করেন।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।