বিশেষ সংবাদদাতা : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমন যাত্রীরা প্রতিদিন চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কাজের সমন্ধয়হীনতার কারণে এক সংস্থার কাজে আরেক সংস্থার কাজে অযথা হস্তক্ষেপ করায় দেশের প্রত্যন্ত এলাকার গরীব-নীরিহ বহির্গমনগামি যাত্রীরা বাব-দাদার ভিটেমাটি বিক্রি করে বিমানবন্দরে এসে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের হস্তক্ষেপে অফলোড হয়ে বিদেশে যেতে না পেরে সর্বশান্ত হচ্ছে।
অথচ বিমান প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রিত্ব গ্রহণের ১০০ দিনের চ্যালেন্ঞ ঘোষণা করেছিলেন, বিমানবন্দরে কোন যাত্রী হয়রানির শিকার হবেন না। কিন্ত মন্ত্রীর এ চ্যালেন্ঞ ১০০ দিন যেতে না যেতেই ভুলুন্ঠিত হয়েছে। বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা অতি উৎসাহিত হয়ে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সীল হবার পর বিমানে ওঠার আগে পাসপোর্ট/ভিসা চেক করার নামে যাত্রীদের বোর্ডিং কাউন্টার থেকে নিয়ে এসে অথবা অনেক সময় বিমান থেকে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের নামিয়ে এনে অফলোড করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা বাব-দাদার ভিটেমাটি বিক্রিলব্ধ টাকা খরচ করে অফলোাড হয়ে বিদেশে যেতে না পেরে পথের ফকিরে পরিণত হবার উপক্রম হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন পুলিশের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সীল হবার পর যাত্রীদের অফলোড করার কোন নিয়ম নেই। কিন্ত বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার লোকজন যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সীল হবার পরও ধরে নিয়ে গিয়ে যাচ্ছে। ফলে যাত্রীদের ফ্লাইট অফলোড হচ্ছে। যাত্রীরা এ ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাজে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনে তথা যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সীল হবার পর যাতে ফ্লাইট অফলোড হতে না হয় সেজন্য দাপ্তরিক আদেশ জারি হবার পর্যায়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় এপিবিেেনর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুলের সাথে। তিনি জানান, এপিবিএন পুলিশ ইমিগ্রেশন পুলিশকে সহায়তা করতে যাত্রীদের পাসপোর্ট/ টিকিট চেক করছে- যাতে মানব পাচার না হয়। তিনি জানান, আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এপিবিএন পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বহির্গমনগামি যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সীল হবার পরও পাসপোর্ট/ভিসা/টিকিট চেকের নামে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এলাকা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করছে। এর ফলে যাত্রীদের সিডিউল টাইম অতিক্রান্ত হওয়ায় ফ্লাইট অফলোড হচ্ছে বলে ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
প্রশ্ন ওঠেছে যাত্রীদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সীল হবার আগে কেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মানব পাচার সংক্রান্ত সন্দেহে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পাসপোর্ট/ভিসা/.টিকিট চেক করছে না। এটা করলে ইমগ্রেশন কাউন্টারে যাত্রীরা যাবার প্রশ্নই ওঠে না, তাদের পাসপোর্টে সীল হবার কথা না।কিন্ত হচ্ছে এখানে উল্টোটা। তা হলে এ ক্ষেত্রে কাজের সম্বন্ধয়হীনতা ঘটছে বলে অভিঙ্ঘমহল মনে করছেন।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)