বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
কক্সবাজার বিমানবন্দর : ১২ শর্তে জেটি নির্মাণের অনুমতি : দুর্নীতিতে বার বার দুই স্ত্রীসহ দুদকের তলবি ব্যক্তি যখন পিডি

একুশে বার্তা ডেক্স : ১২ শর্তে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের বিদেশি মালামাল পরিবহনে অস্থায়ী জেটি নির্মাণে অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ । বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এ অুমতি দিয়েছে।

জানা যায়, অস্থায়ী জেটি নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণের লক্ষ্যে ৭০৬ রানিং/দৌড় ফুট সিট পাইলিং, ২ হাজার ৬৪০ বর্গ মিটার অস্থায়ী জেটি নির্মাণ এবং ১ হাজার ১৬ শতাংশ ফোরশোর/তীরভূমির ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের বিষয়ে ১২ শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি প্রদান করা

হয়েছে।

শর্তগুলো হলো- প্রাথমিক অবস্থায় আলোচ্য লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ১ মাস আগে প্রতিষ্ঠানটির আবেদন ও অত্র কর্তৃপক্ষের বিবেচনাসাপেক্ষে প্রতিবছর নবায়ন করা হবে; ১ হাজার ১৬ শতাংশের অতিরিক্ত ফোরশোর ব্যবহার করা যাবে না; অস্থায়ী জেটি নির্মাণকালীন সময়ে অত্র কর্তৃপক্ষের স্থানীয় ত্রিবিভাগীয় কমিটি কর্তৃক পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; অস্থায়ী জেটি এলাকায় প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে অত্র কর্তৃপক্ষের হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন করতে হবে; অস্থায়ী জেটি এলাকা চ্যানেলে নাব্যসংকট দেখা দিলে বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি গ্রহণসাপেক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে ড্রেজিং করে নাব্যতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে; অস্থায়ী জেটির প্রয়োজনীয়তা শেষে স্থাপিত সব স্থাপনা এবং ভরাটকৃত মাটি অপসারণপূর্বক নদীকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে; প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার সময় থেকে পরিবাহিত মালামালের শুল্ক/চার্জ এবং জেটি কাঠামোর লাইসেন্স ফি আরোপযোগ্য ও পরিশোধ করতে হবে, যা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত।

বছর শেষে প্রকৃত জেটি/স্থাপনার পরিমাণ ও পরিবাহিত মালের পরিমাণের ওপর শুল্ক পরিশোধ করতে হবে ও প্রক্রিয়াটি প্রতি বছর নবায়নযোগ্য হবে; অস্থায়ী জেটির অবস্থান ২১ ফিট, ২৮ ফিট, ৮ ফিট এবং ৯১ ফিট, ৫৭ ফিট, ২৬ ফিট , এর পশ্চিমে হতে হবে; পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি ছাড়পত্র আবশ্যিকভাবে গ্রহণ করতে হবে: কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রাপ্তির পর মালামাল ওঠানামার ওপর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত হারে শুল্ক প্রদান করতে হবে এবং মেয়াদ বলবৎ থাকাকালীন সরকার কর্তৃক শুল্কের হার বৃদ্ধি পেলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বর্ধিত হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে; যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট সংস্থা/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেবিচক কক্সবাজার এবং বিআইডব্লিউটিএর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন কক্সবাজার (কস্তুরীঘাট) নদীবন্দরের বন্দর সীমানায় “কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ’’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেবিচক কক্সবাজার বিমানবন্দর, কক্সবাজারের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষের প্রাপ্যযোগ্য লাইসেন্স ফি বাবদ ৭১ লাখ ২১ হাজার ৩৮১ টাকা ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২০৭ টাকা এবং ৫ শতাংশ আয়কর বাবদ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৯ টাকা অগ্রিম আদায়সাপেক্ষে উল্লিখিত শর্তসহ কর্তৃপক্ষের প্রচলিত অন্যান্য শর্ত উল্লেখ করে উপযুক্ত মূল্যমানের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নৌপথে পরিবাহিত মালামাল লোডিং-আনলোডিং করার অনুমতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের বিতর্কিত এবং ২ স্ত্রীসহ দুদকে তলবিকৃত পিডি  মো. ইউনুছ ভূঁইয়া । তিনি  সিএএবির সাবেক একজন  প্রধান প্রকৌশলীর পিয়নের ছেলে। তার রাজধানীর উত্তরখানে বহুতল বাড়ি রয়েছে।দুদক বাড়িটির তদন্তে নেমেছে। প্রকল্প পিডি যদি হয় দুর্নীতিতে দুদকের তলবিকৃত তাহলে প্রকল্প কাজ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামুলক হবে কি -এ প্রশ্ন অভিঙমহলের

জানা গেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়েটি হতে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। এই রানওয়ের একটি অংশ থাকবে বঙ্গোপসাগরের ভেতরে। ১০ হাজার ৭০০ ফুট দীর্ঘ এই রানওয়ের ১৩শ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়েটি রয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এটির দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৫০০ ফুট। রানওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ বা উড্ডয়নকালে উড়োজাহাজের দুপাশে থাকবে বঙ্গোপসাগরের জলরাশি। দফায় দফায় চিঠি চালাচালির পরও কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের মালামাল পরিবহনে

বেবিচককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ১২ অক্টোবর ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পসমূহের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর-২০২২ এর বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এই প্রকল্পের ঠিকাদার কর্তৃক নির্মিত অস্থায়ী জেটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে নির্মাণকাজের মালামাল নৌপথে লাইটার ভেসেলের মাধ্যমে সাইটে আনার জন্য প্রকল্পের নিকটবর্তী এলাকায় অস্থায়ী জেটি অনুমোদনের বিষয়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।