শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

ডেস্ক রিপোর্ট: শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহর মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মহান শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেতা।

এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষা সৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা।

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্র ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সর্ব-সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান বিদেশিরাও।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- গানের সুরে সুরে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। খালি পায়ে বুকে কালো ব্যাজ আর হাতে ফুল নিয়ে সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে চলেছে তারা।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের এগিয়ে চলতে সহযোগিতা করছে স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা। আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। কয়েক স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন। হাজারও মানুষের মধ্যে বাদ পড়েনি শিশু-বৃদ্ধরাও।

প্রসঙ্গত, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের বিরুদ্ধে করা নানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বাঙালির প্রাণের মাতৃভাষা বাংলা উপেক্ষা করে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। এরপরই শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলন। যার চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।

সেদিন ঢাকায় শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করেন দেশের ছাত্র-জনতা। তাদের ওপর গুলি চালায় পাকিস্তানের পুলিশ। গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, সফিউর, জব্বারসহ অনেক বীর সন্তান প্রাণ হারান। এরপর ১৯৫৬ সালে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।