শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
টাঙ্গাইলের সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এবার স্ত্রী হত্যা মামলা

নিউজ ডেক্স :এক ডজন মামলার আসামি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকী হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিংকীর বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আতিকুর রহমান মোর্শেদসহ আসামি ৯ জন। আতিকুর শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- একই এলাকার মৃত আ. মোমেনের ছেলে মুন্সী তারেক পটন, মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে পারভেজ খান রনি, সোহেল ওরফে বাবু, দুলাল সূত্রধরের ছেলে অন্তর সূত্রধর, কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সুমা, মুন্সী তারেক পটনের স্ত্রী লিনা, শামীম আল মামুনের ছেলে রাফসান, মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে আয়নাল মিয়া।

কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদকে গত ১৯ আগস্ট গোয়েন্দা ও সদর থানাপুলিশ পৌরসভার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। ২০ আগস্ট তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ২৩ আগস্ট তিন দিনের রিমান্ড শেষে মোর্শেদকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর মোর্শেদের বাসার সামনে সৈয়দ শরিফ উদ্দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন।

সেখান থেকে ২০১২ সালের জুন মাসে তার মেয়ে সৈয়দ আমেনা পিংকিকে মোর্শেদের লোকজন অপহরণ করে। পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোস্তফার মাধ্যমে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জোর করে কাজী মোস্তফার বালাম বই থেকে মোর্শেদ তাদের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলে দেন। তাদের সংসারে ছয় বছরের এক মেয়েও রয়েছে। দুই স্ত্রী থাকায় মোর্শেদের পরিবারে দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে মুন্সী তারেক পটনের বাসায় দাওয়াতের কথা বলে পিংকিকে নিয়ে যান মোর্শেদ। সেখানে পিংকিকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়।

সৈয়দ শরিফ উদ্দিন বলেন, পিংকিকে মোর্শেদ জোর করে বিয়ে করে। এর পর মোর্শেদসহ তার লোকজন আমার মেয়েটিকে হত্যা করে। মোর্শেদ ও তার লোকজনের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মোর্শেদ টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলীয় পদে না থাকলেও শহর আওয়ামী লীগের দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, রিমান্ডে মোর্শেদ জিজ্ঞাসাবাদে তার ওই অস্ত্র এবং সন্ত্রাসী কর্মকা- সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদর থানা সূত্র জানায়, আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা, ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা, ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের এক ডজন মামলা হয়েছে বিভিন্ন সময়।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।